বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, আসামি গ্রেপ্তার
প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি, ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। এমনকি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন। এমন সব অভিযোগে রিয়াজ জুবায়ের (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, বুধবার (১৮ মে) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার আল মাদানী রোডের প্যাশন টেইলার্সে অভিযান পরিচালনা করে রিয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নুরুল আবছার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভুক্তভোগী একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার সঙ্গে রিয়াজ জুবায়ের (২৮) নামে একজন টেইলার্স কর্মীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। রিয়াজ ভিকটিমকে নানা জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেতো। একপর্যায়ে রিয়াজ ভিকটিমের বর্তমান বাসায় যান। সেখানে রিয়াজ ভিকটিমকে নগ্ন ছবি তোলার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলে রিয়াজ হুমকি দেয়।
সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভিকটিম নীরবতা পালন করলে, সে সময় রিয়াজ তার মোবাইল দিয়ে ভিকটিমের অনেকগুলো নগ্ন ছবি তোলে। তারপর ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন রিয়াজ। সে প্রস্তাবে রাজি না হলে, রিয়াজ মোবাইলে থাকা নগ্ন ছবিগুলো ভিকটিমের অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীদের দেখায়। এমনকি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন।
রিয়াজ ভিকটিমকে ফুসলিয়ে জন্মদিন পালনের কথা বলে শহরের একটি হোটেলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়াও আসামি ভিকটিমকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে দুই বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এক সময় ভিকটিম বাধ্য হয়ে রিয়াজের পরিবারের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। কিন্তু তাকে কোনো সাহায্য না করে গভীর রাতে অপমান করে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ভিকটিম এসব অভিযোগ র্যাবকে জানালে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নুরুল আবছার বলেন, আসামি রিয়াজ (২৮) পেশায় একজন দর্জি। তিনি বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। সম্পর্কের একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন। নারীর অজান্তেই স্পর্শকাতর মুহূর্তের ভিডিও ও ছবি তুলে পরে সেগুলো দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন। রিয়াজের মোবাইল পরীক্ষা করে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে তার সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রিয়াজ এসব কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কেএম/এমএইচএস