চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে টেকসই প্রকল্প গৃহীত
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যে জোয়ার সারা দেশে চলছে তা থেকে বাদ যাবে না চরাঞ্চলের মানুষ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য টেকসই প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। উপকূলীয় চরাঞ্চলে বসবাসরত জনগণের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নেদারল্যান্ড সরকার ও ইফাদ এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে ‘লং-টার্ম ইমপ্যাক্ট অব দ্য চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং ফর এ লাউঞ্চ অব দ্য বুক নিউ ল্যান্ড, নিউ লাইফ শীর্ষক কর্মশালায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ‘নিউ ল্যান্ড, নিউ লাইফ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল, বিশেষত নোয়াখালীতে চর উন্নয়ন ও বসতি স্থাপন প্রকল্প-১, ২, ৩, ও ৪ এর মাধ্যমে ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্যাপক চর উন্নয়ন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভূমি বন্দোবস্তের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৭৩ হেক্টর জমির সার্বিক উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৫ ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৭ জন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা জরুরি। এজন্য শতবর্ষের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ডেল্টা প্ল্যানের প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তবায়ন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত দেশের মতোই কাজ করছে সরকার। উপকূলীয় মানুষ, পিছিয়ে পড়া মানুষ যেন ভালো থাকে এ লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বন বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত। প্রকল্পটির প্রথম তিনটি পর্যায়ের জন্য এটি বাংলাদেশ সরকার এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। প্রকল্পটির মাধ্যমে চরকে সবুজ খামারে পরিবর্তন করা হচ্ছে। প্রকল্পের পঞ্চম পর্যায় ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের প্রথম সচিব ফলকার্ট জি. জে দে জেগার
এবং ইফাদের প্রোগ্রাম অফিসার মেরিয়েল জিম্মারমেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আহমেদ। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিডিএসপি-বি এর প্রকল্প পরিচালক হিরো হিরিং।
এএজে/আইএসএইচ