নরসিংদীর পলাশ এলাকায় সম্পত্তি ভাগ করাকে কেন্দ্র করে নিজের ভাগ্নের হাতের খুন হন মামা।  অভিযুক্ত মো. নিয়ন শেখকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি বলছে নিয়ন তার মামা আতাউরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। 

সিআইডি জানায়, অভিযুক্তরা ২ ভাই ও ১ বোন। নিয়নের বাবা-মা সিদ্ধান্ত নেয় তাদের সম্পত্তি দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেবে। এ নিয়ে নাখোশ ছিল নিয়ন। গত ১৮ এপ্রিল মা আর বোনের সঙ্গে ঝগড়া হয়0 নিয়নের। সম্পত্তি নিয়ে মা-বোনের সঙ্গে ঝগড়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় আতাউরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে নিয়ন। 

২৭ এপ্রিল আতাউরের স্ত্রী মোসা. দিলরুবা আক্তার নিয়ন শেখকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ে করেন।

সিআইডি আরও জানায়, মঙ্গলবার গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানাধীন বাগবাড়ী থেকে নিয়নকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

মুক্তা ধর বলেন, নিয়নের এক ভাই ও বোন রয়েছে। সে সবার ছোট। গত মাসে বাবা-মা তাদের সম্পত্তি সবাইকে সমানভাবে বণ্টন করে দেওয়ার কথা বলে।  এই সিদ্ধান্তে নাখোশ হয় নিয়ন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় নিয়ন তার মাকে বাড়িতে পেয়ে তার ওপর মারমুখী আচরণ করে। এ বিষয়ে তার মামা সংবাদ পেয়ে নিয়ন শেখের মা শেফালী বেগম ও তার বোন বিথী আক্তারকে (২৪) তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, ১৮ এপ্রিল আনুমানিক ৫টায় বিথী আক্তার তার বাবার বাড়ি থেকে তার মালিকানাধীন গরুটি মামার বাড়ি নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিয়ন তার মামার বাড়ি যায়। আর গরু নিয়ে চলে আসার কারণে নিয়ন তার মা ও বোনকে মারপিট করতে থাকে। এ সময় তার ঘরে থাকা মামা আতাউর এর প্রতিবাদ করলে নিয়ন তার বুকে ছুরিকাঘাত করে। এত আতাউর গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আতাউরকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঢামেক হাসপাতালে আতাউরের অবস্থার আরও বেশি অবনতি হলে সেখান থেকে গত ২৪ তারিখ তাকে বনশ্রীর এডভান্স হাসপাতাল লি.এর আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে ওই দিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আতাউর মারা যান।

এমএসি/এনএফ