ড্রোনে খালের সীমানা দেখে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে বললেন মেয়র
কথা ছিল মান্ডা খাল সংলগ্ন ব্রিজে দাঁড়িয়ে খালের অবস্থান দেখবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন মান্ডা খালের শাপলা সেতুতে (গ্রিন মডেল টাউন সংলগ্ন) দাঁড়িয়ে খালের সার্বিক চিত্র সরেজমিন পরিদর্শনের কথা ছিল। সে অনুযায়ী স্থানীয় কাউন্সিলরসহ দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবস্থান নিয়েছিলেন।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আবাসিক প্রজেক্টের রাস্তা দিয়ে খালের সীমান ধরে প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে গেলেন মেয়র। আনতে বললেন ড্রোন। ড্রোন অপারেটরের পাশে দাঁড়িয়ে ডিসপ্লেতে দেখতে থাকলেন খালের সীমানা। কোথায় পানি প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কোথায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে, বিষয়গুলো নিজেই দেখছিলেন মেয়র তাপস। পাশে ছিল খালের ম্যাপ, সেই ম্যাপ দেখে ড্রোন ভিউয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে চিহ্নিত করে দিলেন খালের অবৈধ দখল অংশ।
বিজ্ঞাপন
এবার পাশে থাকা ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনকে উদ্দেশ্য করে মেয়র বললেন, গাড়ি আনান, অবৈধ সব গুঁড়িয়ে দেন। আজ এখনই এসব উচ্ছেদ করেন।
মেয়রের নির্দেশনা পেয়ে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোন করে এখনি এসব উচ্ছেদের নির্দেশনা দেন। মেয়রের এমন তাৎক্ষণিক নির্দেশনায় এলাকাবাসী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এসময় মান্ডা গ্রিন মডেল টাউনের শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে জিরানী খালের দখল করা জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন করেন মেয়র। এক পর্যায়ে তিনি কাদা ও মাটি মাড়িয়ে খালের জায়গা অবৈধভাবেই দখল করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেন।
মেয়রের কার্যক্রম দেখতে আসা মান্ডা এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা আব্দুস সোবহান বলেন, জীবনে কোনোদিন এই খাল বিল পেরেয়ি এত ভেতরে কোনো মেয়র আসেননি। আজই প্রথম এই মেয়র এখানে এসেছেন। খালের প্রবাহ যেখানে নষ্ট হয়ে গেছে সেই পর্যন্ত এই মেয়র পায়ে হেঁটে এসেছেন। আকাশে কি একটা উড়িয়ে খালের সীমান দেখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলে দিলেন। এসব উচ্ছেদ হয়ে যদি খালের পানি প্রবাহ ফিরে আসে তাহলে আমাদের এলাকায় বর্ষার সময় আর জলাবদ্ধতা হবে না।
মেয়র এমন নির্দেশনা দিয়ে পূর্বে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কদমতলী, জুরাইনের জলাবদ্ধতাপ্রবন এলাকা পরিদর্শনের জন্য রওনা হন। এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি, রাজস্ব, বর্জ্য ব্যবস্থাপকসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/জেডএস