চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আসামির দায়ের কোপে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হওয়া পুলিশ কনস্টেবল জনি খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৫ মে) বিকেল পাঁচটা ২০ মিনিটে লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভক্ত চন্দ দত্ত ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুর দুইটা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। আমি তার সঙ্গেই আছি। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা তার হাতের অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

তবে কনস্টেবল জনি খানকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাননি এসআই ভক্ত চন্দ দত্ত। 

এর আগে আজ সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় অভিযানে গিয়ে আসামির দায়ের কোপে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয় কনস্টেবল জনি খানের। একই ঘটনায় আরও এক কনস্টেবল আহত হন। ঘটনার পর পালিয়ে যান আসামি কবির আহম্মদ।

রোববার (১৫ মে) সকাল দশটার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর লালারখিল এলাকায় মারামারি মামলার আসামি ধরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) মো. শিবলী নোমান।

তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ লালারখিল গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন কবির আহম্মদ। সকালে কবিরকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযানে যায় লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি দল। বাড়িতে প্রবেশ করে কবিরকে ধরতে গেলেই কবির কনস্টেবল জনি খানের বাম হাতে ধারালো দা দিয়ে কোপ মারে। এতে জনির বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

মো. শিবলী নোমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

কেএম/আইএসএইচ