মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক ১ হাজার মাদ্রাসা ও ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে ২২০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রস্তুত দেশবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী কাজ বলে দাবি করেছেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি নূরুল হুদা ফয়েজী।

তিনি বলেন, দেশে আইন আদালত থাকতে তথাকথিত ‘গণকমিশন’ মাদ্রাসা ও  আলেমদের বিরুদ্ধে তদন্ত বা তালিকা তৈরির এখতিয়ার নেই। এ ধরনের কাজ দেশের স্বাধীনতা ও সংবিধানবিরোধী কাজ। শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

নূরুল হুদা বলেন, কথিত গণকমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ নিজের মায়ের সম্পদ কুক্ষিগত করা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রসিকিউটর থাকাকালীন অবৈধ অর্থের লোভে আসামির সঙ্গে বোরকা পরে সাক্ষাৎ করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে। ২০১২ সালে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে নিন্দা ও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সংসদ সর্বসম্মত একটি প্রস্তাব পাস করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ তাকে স্যাডিস্ট বলে অভিহিত করেছেন। সেই মানিক দ্বৈত নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তা গোপন করে বিচারপতি হয়েছেন, যা চরম অন্যায়। কাজেই এ ধরনের গণধিকৃত ব্যক্তিদের আলেম ও মাদ্রাসা নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। তুরিন ও মানিকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচার করতে হবে। 

এএইচআর/এসকেডি