ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডিএনসিসি এলাকায় সমস্ত ওয়ার্ডে এডিস মশা নির্মূলে আমাদের এ চিরুনি অভিযান পরিচালিত হবে। এ অভিযান শেষে আমি নিজেই আবার অভিযানে নামব। তখন যদি কেউ অনুরোধ করেন জরিমানা না করার জন্য, তা শোনা হবে না। এ শহরের নিরাপত্তার জন্য আমাকে কঠোর হতেই হবে।

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর উত্তরায় এডিস মশা ও ডেঙ্গু বিরোধী নাগরিক সচেতনতামূলক পথসভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আইন অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হবে। কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এসময় ডিএনসিসি এলাকায় ১০ দিনের মশা নিধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ১৭ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান মেয়র।

স্কুলের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, এডিস মশার জন্ম হয় স্বচ্ছ পানিতে, টায়ারে, ফুলের টবে তাই আমি অনুরোধ করছি ‘তিন দিনে এক দিন জমা পানি ফেলে দিন’। আসুন আমরা সকলেই সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি। নিজের জীবনের দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে। তাই আমরা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আগে আমাদের বাসা বাড়ি পরিষ্কার করব।

মশক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, অভিযান চলাকালীন ১০ দিন মশক বিভাগের সব ছুটি বাতিল করা হলো। এ ১০ দিন তাদের সবাইকে কাজে থাকতে হবে। আমাদের কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। আমাদের মহিলা কাউন্সিলররা মাঠে থাকবেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেটা তথ্য পেয়েছি গত বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গু আরও বেশি ভয়ংকর হতে পারে। আমার কথা হলো, আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করব। যা যা করা দরকার আমার কাউন্সিলদের নিয়ে, সিটি করপোরেশনের সবাইকে নিয়ে তা করব। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে ক্যাম্পেইন করা হবে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আইন অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হবে। গতবার আমরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছি। এবারও সেটি হবে, জেলও হবে। কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানসহ ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।

এএসএস/এসকেডি