চলতি বছর দ. কোরিয়া গেছেন ১ হাজার ৩৭৪ বাংলাদেশি
চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমে (ইপিএস) ১ হাজার ৩৭৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছেন। গত বছর দেশটিতে যান ১১১ জন। অর্থাৎ গত দুই বছরে প্রায় দেড় হাজার কর্মী দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। মঙ্গলবার (১০ মে) ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বিদেশি কর্মী গ্রহণ স্থগিত করে। পুনরায় চালু হওয়ার পরে মোট ১ হাজার ৪৪৭ বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় গেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে ১১১ জন, এ বছরের জানুয়ারিতে ১৩০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২০৮ জন, মার্চে ২১৮ জন, এপ্রিলে ৬৫৭ জন এবং মে মাসে ১২৩ জন কোরিয়া যান।
বিজ্ঞাপন
গত বছর ইপিএসের মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের পুনরায় যাত্রা শুরু করার পর গতকাল সোমবার ১২৩ জন বাংলাদেশি কোরিয়ার উদ্দেশে রওনা করে। এদের মধ্যে ১০৯ জন নবীন এবং বাকি ১৪ জন পুনঃপ্রবেশ কর্মী। এটি ছিল কোরিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের ১৪তম ব্যাচ।
এসব বাংলাদেশি কর্মীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান রাষ্ট্রদূত লি জাং-কুন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বিদায় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত লি বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং বিদায়ী কর্মীদের কোরিয়াতে তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ও স্বপ্ন পূরণের জন্য তার আশা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ইপিএস কর্মীরা কয়েক দশক ধরে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। লি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে জনগণের মধ্যে অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
কোরিয়ান দূতাবাস বলছে, চলতি মাসে বাংলাদেশ থেকে আরও তিনটি ব্যাচে দেশটিতে কর্মী যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ইপিএস এমওইউ হওয়ার পর থেকে এ কর্মসূচির আওতায় ২৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি বাংলাদেশি কর্মী দেশটিতে কর্মসংস্থানের জন্য গেছে।
কোরিয়ার দূতাবাস জানায়, ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোরিয়া বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ থেকে মাঝারি ও স্বল্প-দক্ষ বিদেশি শ্রমিকদের গ্রহণ করে আসছে। তবে করোনা মহামারির কারণে কোরিয়ান সরকার দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইপিএস কর্মীদের গ্রহণ স্থগিত করে।
এনআই/এসকেডি