ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় প্রতিরোধ আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। মঙ্গলবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে ভোজ্যতেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ঘটনায় প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে অর্থাৎ গত ৫ মে বৃহস্পতিবার হঠাৎ ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যোগসাজশে সয়াবিন তেলের মূল্য লিটারপ্রতি ৩৮ ও খোলা তেলে ৪৪ টাকা বৃদ্ধি করল। যদিও বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতেও তেলের দাম বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রশ্ন সে দিন মূল্যবৃদ্ধি করার সময় জনসাধারণের বা ভোক্তা প্রতিনিধি কেউ কি ছিল? এমনকি কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে কেবল ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে আমরা একে বলি প্রহসনের বা অনৈতিক ও অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি। তাই এ প্রশ্নবিদ্ধ মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী তেল মজুত করে রেখেছেন, যা দুই দিন ধরে বের হচ্ছে। কিন্তু তারা কখন মজুত করেছেন, যখন তারা দেখলেন উৎপাদন ও আমদানিকারকরা বাজারে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ঠিক তখনই এই অসাধু মজুতদাররা বাজার শূন্য করে দিলেন।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সাধারণ নাগরিকরা ঈদ করতে পারলাম না। এর দায়ভার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রী কিংবা মিল উৎপাদন বা আমদানিকারক কেউ এড়াতে পারে না। আমরা আশা করেছিলাম সরকার এদের শাস্তির আওতায় আনবে। আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল এখন উচ্চ আদালত। আমরা প্রয়োজন হলে উচ্চ আদালতে যাব।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইসা, নারী আন্দোলনের সভানেত্রী মিতা রহমান প্রমুখ।

এএসএস/এসএসএইচ