ধারণক্ষমতার তিনগুণ দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায়
পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঘরবন্দি মানুষের ঢল নেমেছে জাতীয় চিড়িয়াখানায়। ৫০ হাজার লোক ধারণক্ষমতার চিড়িয়াখানায় আজই দেড় লাখ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে।
বুধবার (৪ মে) জাতীয় চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পর দিন চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের এ ঢল চিড়িয়াখানা ভেদ করে কমার্স কলেজে মোড়ে গিয়ে ঠেকেছে। চিড়িয়াখানায় নতুন সংযোজিত সুপেয় পানির জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পানি খাওয়ার ট্যাবসহ বেসিন বসানোয় স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ দর্শনার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
পূর্ণ প্রস্তুতিতেও দর্শনার্থীদের সামলাতে বেগ পেতে হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানান চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান।
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত দুই বছর করোনাকালীন সময় পার হওয়ার পর এবার দর্শনার্থীদের ভিড় হয়েছে। এ লক্ষ্যে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু কোনো কিছুই কাজে আসেনি।
তিনি বলেন, আজই প্রায় দেড় লাখ দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেছে। গতকাল প্রায় ৩৫ হাজার দর্শনার্থী প্রবেশ করেছিল। আমরা আশা করছি, আগামী ১৫ দিন দর্শনার্থীদের চাপ থাকবে। যাই হোক এতো চাপেও কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে আজকে ঘুরতে আসা প্রায় ৬০ জন বাচ্চা পরিবারের লোকজন থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। আমরা সব বাচ্চাকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি।
এসআর/এসকেডি