ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে রাজধানী থেকে অধিকাংশ ট্রেন সময়মতো ছাড়ছে। ত‌বে প্র‌তিটা‌ ট্রে‌ন যাত্রীতে ঠাসা। যাত্রীর চাপে কিছুটা ভোগান্তি হলেও প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাওয়ার আনন্দে ছাপিয়ে যাচ্ছে তা।

শ‌নিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে বেলা সা‌ড়ে ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছে। অধিকাংশ ট্রেনই যথাসময়ে ছেড়েছে।

প্ল্যাটফ‌র্মে অপেক্ষারত সি‌লেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রী সোরহাব হো‌সেন। তিনি বলেন, রাস্তায় যানজটের ভয়ে অনেকটা আগেই বাসা থেকে বের হ‌য়ে‌ছি। তবে রাস্তায় তেমন যানজট পাইনি। এক ঘণ্টা আগে স্টেশনে এসে পৌঁছেছি। মনে হচ্ছে ট্রেনও সঠিক সময় ছেড়ে যাবে।

পঞ্চগড়গামী একতা এক্স‌প্রেস প্রায় ৫০ মি‌নিট বি‌ল‌ম্বে ছে‌ড়ে‌ছে। এই ট্রে‌নের যাত্রী মোবারক জানান, ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। আমরা সা‌ড়ে ৯টা থে‌কে স্টেশ‌নে অপেক্ষা কর‌ছি। সা‌ড়ে ১০টাতেও ট্রেন ছা‌ড়ে‌নি। 

তি‌নি ব‌লেন, এম‌নিতেই বিলম্ব তারপর অতিরিক্ত যাত্রী। অন্যান্য ট্রেনে অনেকে টি‌কিট কে‌টেও ট্রেনে উঠ‌তে পার‌ছেন না। যাত্রীতে ঠাসাঠাসি। ব‌গি‌র ভেতর ঢোকার জায়গা নেই। ঈদ যাত্রা হিসেবে এটা মে‌নে নি‌তে হ‌বেই। তবে এত ভোগান্তির পরও অনেক ভালো লাগছে, কেননা আর কয়েক ঘণ্টা পরেই বাড়ি যাব, বাবা-মার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করব। 

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার ঢাকা পো‌স্টকে বলেন, স্বস্তির কথা এবার এখন পর্যন্ত বড় কোনো শিডিউল বিপর্যয় হয়নি। অধিকাংশ ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। আজকে এখন পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে। তিন চার‌টি ট্রেন দে‌রি‌তে ছেড়েছে, তাও ২০ মি‌নিট বা আধা ঘণ্টা, এটা বিলম্ব ত‌বে বিপর্যয় বলা যা‌বে না।

তিনি জানান, আজকে ঈদযাত্রায় ৩৯ জোড়া ট্রেন ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। আর সব মিলিয়ে ট্রেন আসা যাওয়া করবে ১২২টি।

অতিরিক্ত যাত্রীর বিষ‌য়ে স্টেশন ম্যানেজার ব‌লেন, ঈদে যাত্রীর চাপ বে‌ড়ে যায়। এটা বি‌বেচনায় নি‌য়ে অতিরিক্ত ব‌গি যোগ করা হয়েছে। আর প্রতিটি ট্রে‌নে অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ টি‌কিট বি‌ক্রি করা হ‌চ্ছে ‘স্ট্যান্ডিং’ যাত্রীদের জন্য।

এসআই/আইএসএইচ/জেএস