চট্টগ্রাম নগর ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, মো. সাকিব (২০), মো. সোহেল (২৯), জাহিদুল ইসলাম ফয়সাল (২২), মো. পারভেজ (২২) ও মো. ইসমাইল হোসেন রাব্বী (২২)। 

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।  

তিনি বলেন, আসামিরা পেশাদার ও সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরস্পর যোগসাজশে মোটরসাইকেল চুরি করে তা মজুদ, সংরক্ষণ, বিক্রয় করে থাকে। চক্রটি চুরি ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর পরিবর্তন ও রং পাল্টে মোটরসাইকেল বিক্রি করে থাকে। 

ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ২৮ এপ্রিল বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ কলোনি এলাকায় নজরুল ইসলাম নামের এক ঠিকাদার তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল বাসার নিচে রেখে ইফতার করতে বাসায় যান। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মানুষের চিৎকারে বাসা থেকে বের হয়ে দেখেন মো. সাকিব নামের একজন তার মোটরসাইকেলসহ রাস্তায় পড়ে আছেন। 

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাকিবকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নজরুল ইসলাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর থেকে ২৯ এপ্রিল ভোর ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, মো. সাকিব, মো. মিরাজ ও আজাদ মূলত মোটরসাইকেল চোর। তারা চোরাই মোটরসাইকেল মো. সোহেলের নিকট সংরক্ষণ করেন। সোহেল মোটরসাইকেল জাহিদুল ইসলাম ফয়সালের কাছে সরবরাহ করেন। ফয়সাল মূলত ডিলার।

ফয়সাল চোরাই মোটরসাইকেল পারভেজ, কামরুল, ইসমাইল হোসের রাব্বী ও সাকিবের কাছে পাইকারি দামে সরবরাহ করেন। তারা চোরাই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর ও রং পরিবর্তন করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান। 

কেএম/আরএইচ