ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেন ছাড়ছে। বেশিরভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেলেও দুই-একটি ট্রেন ছেড়েছে বিলম্বে। এতে ঈদ উৎসবের যাত্রায় কেউ পেয়েছেন স্বস্তি, আবার কেউ পড়েছেনে ভোগান্তিতে।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঘরমুখো মানুষের তীব্র স্রোত। প্রিয়জন‌দের সঙ্গে ঈদ কর‌তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। সড়ক পথের যানজট এড়াতে ঈদযাত্রার ট্রেন বেছে নিয়েছেন তারা।

রেল কর্মকর্তা ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজধানী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ১৭টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে ১৬টি ট্রেন যথা সময়ে ছাড়লেও এক‌টি বিলম্ব ছেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টার বে‌শি সময় বিলম্বে ছেড়েছে। ট্রেন‌টির সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন থেকে চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি ছেড়েছে সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

নীলসাগর এক্সপ্রেসে যাত্রী মিঠুন বলেন, কল্যাণপুর থেকে সকাল ৬টার আগেই স্টেশনে এসেছিলাম। দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় গরমে ছোট বাচ্চা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ছাড়‌তে দুই ঘণ্টার বে‌শি দে‌রি ক‌রে‌ছে। এখন কয়টায় পৌঁছায় এটাই দেখার বিষয়।

এ বিষ‌য়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেন‌টি নির্ধারিত সময়ে প্লাটফর্মে না আসায় ছাড়‌তে দে‌রি হ‌য়ে‌ছে। ত‌বে অন্য ট্রেনগুলো নির্ধারিত সম‌য়ে ছে‌ড়ে‌ছে।

এর আগে বুধবার ঈদযাত্রার প্রথম দিনে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও আজ তেমনটি দেখা যায়নি। বেশিভাগ ট্রেন সঠিক সময় ছেড়ে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।

গ্রামে মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন এমদাদুল হক ও তার পরিবার। সঙ্গে রয়েছে তাদের ছোট্ট মেয়ে আসিফা। এমদাদুল হক জানান, ঈদে সড়কের বাড়তি চাপ এড়াতে অফিস থেকে আজ অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি, সিলেট যাব। এর আগে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছি। সে অনেক কষ্টের কথা, এখন নাই বলি। সঠিক সময় ট্রেন ছাড়ছে এটাই স্বস্তির। সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেই হলো। বাবা-মার সঙ্গে ঈদটা যেন সুন্দর করে কাটাতে পারি এটাই চাওয়া।

এদিকে আজ কাউন্টারে কিছু কমিউটার ট্রেনের টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখানে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো শাহ জালাল বলেন, আগে টিকিট কাটতে পারিনি। আজই যাব, তাই টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। ১৫ মিনিট হয়েছে দাঁড়িয়েছি। কত সময় লা‌গবে জা‌নি না।

এসআই/এসএসএইচ