আইনজীবীর সঙ্গে ভুক্তভোগী নারী

টিকটক সূত্রে পরিচয়। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে। এরপর স্ত্রীকে ইফতারে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা। টিকটকার স্বামী ফজলুল করিম সুমনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী স্ত্রী। এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন সুমন। 

বুধবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম  মোহাম্মদ অলি উল্লাহর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।  ঢাকা পোস্টকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন  অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ। তিনি বলেন, আদালত মামলা নিয়ে বায়েজিদ থানার ওসিকে দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

ওই নারীর টিকটকার স্বামী ফজলুল করিম সুমন ছাড়া বাকি দুই আসামি হলেন শ্যালক আজাদ মিয়া ও দ্বিতীয় স্ত্রীর মা হোসনে আরা বেগম। মামলা প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন,  একজন নারীকে ধর্মান্তরিত করে পবিত্র রমজানের দিনে ইফতারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলী এলাকায় থাকতেন ওই নারী, বিয়ের আগে তিনি অন্য ধর্মের ছিলেন।  সাগরে ঘুরতে গিয়ে পরিচয় হয় সুমনের সঙ্গে। টিকটকে অর্থ উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। পরে ধর্ম বদলে বিয়ের পিড়িতে বসেন ওই নারী। বিয়ের পর সুমনের আসল চেহারা  সামনে আসে। ভুক্তভোগী নারী সুমনের চতুর্থ স্ত্রী।

অভিযোগ, চার স্ত্রীর বাইরেও সুমনের সঙ্গে আরও অনেক টিকটকার তরুণীর সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।  এ নিয়ে সুমনের কাছে জানতে চাইলে চতুর্থ স্ত্রীর ওপর শুরু হয় নির্মম অত্যাচার। এর ধারাবাহিকতায় হত্যার চেষ্টা। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের ৬ মার্চ ওই নারীকে ধর্মান্তরিত করে  বিয়ে করেন সুমন। ১০ এপ্রিল ইফতারের আগে আসামিরা তাকে মারধর করে। সেদিন ইফতারের সময় শরবতের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে ওই নারীকে জোরপূর্বক পান করতে বাধ্য করা হয়। পানের পর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন ।  এরপর সুমন তার সঙ্গীদের নিয়ে তাকে চমেক হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সহায়তায় ওই নারীকে হাসপাতালে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কেএম/আরএইচ