চলতি বছর হজ ফ্লাইটের জন্য যাত্রী প্রতি ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে নির্ধারণ করা এ ভাড়া অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। 

সভায় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, ভাড়ার যৌক্তিকতা আমরা সভায় উপস্থাপন করেছিলাম। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তও দিয়েছি। বিমান এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের জুন মাসের প্রদর্শিত ভাড়া আমরা উপস্থাপন করেছি। সেটা গড় করলে এখন ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে থাকে। অর্থাৎ ভাড়া কমানো যায়। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় যখনই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে, বরাবরই ফুয়েলের কথাটাই বলা হয়। এ বছর ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে আগেও ভাড়া যখন বেড়েছে, এটার কথা বলেই হয়েছে।

হাব সভাপতি বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল ভাড়া আরও কমানোর। ধর্ম মন্ত্রণালয়েরও প্রস্তাব ছিল ভাড়া ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা। আমরা মনে করি, ভাড়া আরও কমা উচিত। এটি একটি যৌক্তিক পর্যায়ে থাকা উচিত। 

তিনি বলেন, আমরা হজ যাত্রীদের নিবন্ধন করেছি কোভিডের আগে। তখন তাদের একটি দাম (বলে) দিয়েছি, এখন কিন্তু সেটা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আমি বলব এটা একটু পর্যালোচনা করুন।

এ বছর ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া কোনো সিডিউল ফ্লাইটে হজযাত্রী পাঠানো হবে না বলেও জানান এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

হাবের সভাপতি বলেন, আমরা একটি কথা জানিয়ে দিয়েছি। ভাড়া নেওয়া হয় ডেডিকেটেড ফ্লাইটের (যে ফ্লাইটে শুধু হজযাত্রীদের পরিবহন করা হয়) জন্য। কিন্তু হজযাত্রীদের বেশির ভাগকে নেওয়া হয় সিডিউল ফ্লাইটে। 

তিনি বলেন, ২০১৯ সালে হজের সময় মোট ৩৬৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে মাত্র ১৪৯টি। কিন্তু ৩৬৬টি ডেডিকেটেড ফ্লাইটেরই ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এটা যাতে না হয়। 

হাব সভাপতি বলেন, ডেডিকেটেড ফ্লাইট হলেই কেবল বাংলাদেশি যাত্রীদের ইমিগ্রেশন এখানে করা সম্ভব হবে। না হলে এটা সম্ভব হবে না। বিষয়টি আমি বিবেচনার জন্য বলব।

আগামী ৩১ মে থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন হাব সভাপতি। তিনি বলেন, নিবন্ধনের বিভিন্ন কাজ রয়েছে, এজেন্সি টু এজেন্সি সমন্বয়, মোয়াল্লেম নির্বাচন, সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া, পরিবহন, খাবারের ব্যবস্থা সবকিছুর পর ভিসা হবে, এরপর হজযাত্রী যাবেন। এটা বিশাল একটা প্রক্রিয়া। সঙ্গত কারণে ৩১ মে থেকে হজযাত্রী পাঠানোর জন্য কোনভাবেই হাব প্রস্তুতি নিতে পারবে না, এটা সম্ভব নয়। সৌদি আরব অংশে খরচ কত হবে, সেটা আমরা এখনও জানতে পারিনি।

এসএইচআর/এসকেডি