আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৩ এপ্রিল যারা ঈদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটেছিলেন তারাই আজ প্রথম দিনের ঈদযাত্রা শুরু করেছেন। তবে প্রথম দিনের শুরুতেই বিলম্বিত হয়েছে ট্রেনের শিডিউল। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করা যাত্রীরা। তারা বলেছেন, একবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ঈদের টিকিট কাটবো, আবার যাত্রার দিন শিডিউল বিপর্যয় হয়ে ট্রেন বিলম্বিত হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৬টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে ঈদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রথম ট্রেনই বিলম্বিত হয়। ফলে ৬টা ২০ মিনিটে সিলেটগামী পারাবত ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানিক ঈদযাত্রা শুরু হয়। আর ধূমকেতু ট্রেনটি ৫৫ মিনিট বিলম্বিত হয়ে ৬টা ৫৫ মিনিটে কমলাপুর ছাড়ে। একইভাবে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৮টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও বিলম্বিত হয়ে ট্রেনটি ৮টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে যায়। এছাড়া যাত্রীতে পরিপূর্ণ রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৯টা ১০ মিনিটে কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও বিলম্বিত শিসিডিউল নিয়ে কমলাপুর ছাড়ে সকাল ১০টা মিনিটে।

সার্বিক বিষয় নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, আজ থেকে আমাদের ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। সকালে যে ১২টি ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে এর মধ্যে ২/৩টি ট্রেনের কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ক্রসিংয়ের কারণে মূলত ট্রেনগুলো বিলম্ব হয়েছে। আশা করছি আমাদের বাকি ট্রেনগুলোর টাইম শিডিউল ঠিক থাকবে। 

কমলাপুর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, আজা সারাদিনে মোট ৩৭টি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাবে। এছাড়া ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ৫৩ হাজার যাত্রী ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন।

রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের যাত্রী মাসুদুর রহমান ট্রেন বিলম্ব হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অগ্রিম টিকিটের জন্য সেদিন মধ্যরাতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। পরে সকালে টিকিট পেলাম, আজ যখন কাঙ্ক্ষিত দিন এল তখন যাত্রায়ও বিলম্ব। একবার টিকিট কাটার সময় বিড়ম্বনা, আবার যাত্রার দিনের শিডিউল বিপর্যয়ের বিড়ম্বনা। সব ভোগান্তি শুধু আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের।

বিলম্বিত হওয়া আরেকটি ট্রেনের যাত্রী মকিদুর রহমান বলেন, রমজান মাসে রোজা রেখে স্ত্রী-সন্তানসহ বলতে গেলে দৌড়ে স্টেশনে এসেছি, এসে দেখি ট্রেন লেট হয়েছে। মানুষ ১২/১৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আজকের এই টিকিট কিনেছে। সবাই স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করছে। এমন ভোগান্তি কি মেনে নেওয়া যায়। একবার টিকিট কাটতে আবার যাত্রা পথে এমন বিড়াম্বনা থেকে আমরা সাধারণ যাত্রী মুক্তি চাই।

এএসএস/জেডএস