রেলের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিন আজ। স্টেশনে আজ বিক্রি হচ্ছে ১ মে’র অগ্রিম টিকিট। সেইসঙ্গে আজই শেষ হচ্ছে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম। এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল সকাল ৮টা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সরজমিনে দেখা গেছে, আজও অনেক মানুষ ট্রেনের টিকিটের জন্য স্টেশনে এসেছেন। তবে বিগত চার দিনের তুলনায় আজ রেলস্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় কম। ফলে অনেকটা স্বস্তি পাচ্ছেন স্টেশনে আসা মানুষরা।

এবার ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ এই স্লোগান বাস্তবায়নে যাত্রীদের এনআইডি-জন্ম সনদ ফটোকপি কাউন্টারে প্রদর্শনপূর্বক টিকিট ক্রয় করতে হবে। এনআইডি ছাড়া অন্য কোনো পরিচয়পত্র দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে না।

সেই অনুযায়ী টিকিটপ্রত্যাশীরা এনআইডি অথবা জন্ম সনদের ফটোকপি হাতে নিয়ে কমলাপুরের ২৩টি কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করছেন।

রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের টিকিটের জন্য কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে ৩০ তারিখ রাতের ট্রেনে যেতে চেয়েছিলাম। এজন্য কারণে গতকাল সেহেরির পর থেকে কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত টিকিট পাইনি। অনলাইনে চেষ্টা করেও বিফল হয়েছি। তাই আজ ১ মে’র টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি।

সাজ্জাদ বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ কমলাপুরে ভিড় কম। মনে হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়ে যাব।

রংপুর এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য একইভাবে গতকাল লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন হায়দার আলী। কিন্তু পাননি প্রত্যাশিত টিকিট।

তিনি বলেন, কমলাপুরে গতকালের মতো ভিড় আর কখনও দেখিনি। আজ সেই তুলনায় ভিড় কম। যদিও প্রতিটি কাউন্টারে সামনে অনেক সিরিয়াল। গত রাতে লাইনে দাঁড়িয়ে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় টিকিট পেয়েছি।

এদিকে লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমরা সবাই দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু কাউন্টার থেকে টিকিট প্রদান করতে অনেক সময় অতিবাহিত করে ফেলছে। ফলে লাইনে অপেক্ষার সময় বাড়ছে।

টিকিটপ্রত্যাশীদের এমন অভিযোগ বিষয়ে কাউন্টের দায়িত্বরত শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে একটি টিকিটের জন্য অনেকগুলো তথ্য পূরণ করতে হয়। প্রতিটি টিকিটে এনআইডি বা জন্ম-সনদ নম্বর ইনপুট দিতে হচ্ছে। টিকিট প্রিন্টসহ এমন নানান কারণে কিছুটা সময় লাগছে।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, আজ টিকিট বিক্রি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। যাত্রীরা সুন্দরভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত টিকিট সংগ্রহ করছেন। সকাল ৮টা থেকে শুরু করে আসন শেষ না হওয়া পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে।

এএসএস/এমএইচএস