বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা

১৫-২০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে বিস্ফোরক মজুদ করে আতশ, পটকা ও চকলেট বাজি তৈরি করেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের বোরহান উদ্দিন। এ কথা তার প্রতিবেশীরাও জানেন না।

কারখানায় বাজি তৈরির সময় হঠাৎই কারখানায় বিস্ফোরণে দুই নারী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপরই বিষয়টি সামনে এলো। 

দুই শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কারখানা মালিক বোরহান উদ্দিনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বোরহাননামা তুলে ধরেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, গত ২০ এপ্রিল ভোরে নান্দাইলের চন্ডিপাশা এলাকায় একটি অবৈধ আতশবাজির কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নাছিমা আক্তার (৩০) ও আফিয়া খাতুন (৪৫) নামে দুই নারী শ্রমিক মারা যান। 

নাসিমা আক্তার দেড় বছর ও আফিয়া খাতুন চার মাস ধরে ওই কারখানায় কাজ করতেন। তারা কাজ অনুযায়ী সপ্তাহে দুই থেকে ছয় হাজার টাকা আয় করতেন।

তিনি বলেন, দুই নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বোরহানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এসএসপি মুক্তা ধর বলেন, ওই বাড়িতে অবৈধভাবে বিস্ফোরক দ্রব্য মজুদ রেখে বাজি তৈরি করা হয়। কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিন দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে আতশবাজিসহ চকলেট বাজি, তারাবাজি, পটকা তৈরি করে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করেন।

আতশবাজি তৈরির জন্য কাঁচামাল ঢাকার চকবাজার এলাকা থেকে কেনেন বোরহান। তার কারখানায় বাজি তৈরির জন্য পালাক্রমে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করত। ঘটনার দিন ভোরে আতশবাজি তৈরির সময় বিস্ফোরণে দুই নারী মারা যান।

এমএসি/আরএইচ