এবারও জলাবদ্ধতা থেকে মিলছে না মুক্তি
রাজধানীতে বুধবার (২০ এপ্রিল) ভোরে ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। প্রায় আধাঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। অন্তহীন ভোগান্তির শিকার হন নগরবাসী।
রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া, গ্রিন রোড, কাঁঠালবাগান, কারওয়ানবাজার, ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোড, আসাদগেট, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, মতিঝিলের কিছু অংশ, গ্রিনরোড, সোনারগাঁও মোড়, রামপুরা ও খিলগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা যায়। তবে, অনেক এলাকায় পানি অল্প সময়ের মধ্যে নেমেও যায়। দীর্ঘসময় জমে না থাকলেও রাজধানীর বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে পানি জমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নগরবাসীর কপালে। এবারের বর্ষা মৌসুমেও হয়তো জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলছে না তাদের!
বিজ্ঞাপন
এতদিন জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে সিটি করপোরেশন ঢাকা ওয়াসাকে দায়ী করে আসছিল। কারণ, ঢাকা শহরের খাল ও ড্রেনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ওয়াসার। কিন্তু ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুই সিটি করপোরেশনকে খাল ও ড্রেনগুলোর দায়িত্ব হস্তান্তর করে ঢাকা ওয়াসা। দায়িত্ব পাওয়ায় আশার আলো জ্বলে নগরবাসীর মনে। এবার বুঝি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর দুই সিটি করপোরেশন কাজও শুরু করে। কিন্তু তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে এবারের বর্ষাতেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না রাজধানীবাসী। তবে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, পুরোপুরি জলাবদ্ধতা নিরসন না হলেও আগের তুলনায় ভোগান্তি কম হবে এবার।
বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার মুখে পড়ে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া, গ্রিন রোড, কাঁঠালবাগান, কারওয়ানবাজার, তেজকুনি পাড়া, তেজতুরী বাজার গার্ডেন রোড, ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোড, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক ও মতিঝিল এলাকা। এছাড়া পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড, বংশাল রোড, বঙ্গভবন এলাকা, টিকাটুলি, মুগদা, খিলক্ষেত, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কিছু অংশে জলাবদ্ধতা দেখা যায়
গত বুধবার ভোরে আধাঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজধানীর কাজীপাড়ার প্রধান সড়কসহ আশপাশের এলাকা। ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয়রা। ওই সময় ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় স্থানীয় বাড়ির মালিক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে। জলাবদ্ধতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সারাজীবন কাজীপাড়ার বাসিন্দারা জলাবদ্ধতার ভোগান্তি ভোগ করে আসছে। এবার খালগুলো সিটি করপোরেশনের অধীন আসার পর ভেবেছিলাম জলাবদ্ধতা আর হবে না। কিন্তু বুধবার ভোরের সামান্য বৃষ্টিতে এ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তাহলে লাভ কী হলো? স্বাভাবিকভাবে উপলব্ধি করা যায়, এবারের বর্ষা মৌসুমেও আমাদের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
বাড্ডা লিংক রোডের বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা— এটা এ এলাকার স্বাভাবিক চিত্র। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে অনেকবার বলা হয়েছে, আগের মতো জলাবদ্ধতা হবে না। কিন্তু গতবার জলাবদ্ধতায় ভুগেছি। আধাঘণ্টার বৃষ্টিতে আজও (বুধবার) পানি জমতে দেখলাম। এবারের বর্ষা মৌসুমেও রক্ষা পাব না।
কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, অত্র এলাকার ড্রেনগুলো এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। ড্রেন দিয়েই পানিগুলো খালে যাবে। সিটি করপোরেশন থেকে ড্রেনগুলো পরিষ্কারের কথা বারবার বলা হলেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ এখনও চোখে পড়েনি। ফলে এবারও জলাবদ্ধতা থেকে আমরা মুক্তি পাচ্ছি না।
প্রতি বছরই জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। বৃষ্টি হলেই নগরীর অলিগলি ও ছোট পরিসরের রাস্তাগুলোতেও পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো আবর্জনায় ভরাট থাকায় যথাসময়ে বৃষ্টির পানি বের হতে পারে না। উল্টো ড্রেন উপচে পড়া ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ে শহরময়। ড্রেনেজ লাইন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এবং খালগুলোর পানি প্রবাহ ঠিক না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাজধানীর বেশিরভাগ সড়ক।
বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার মুখে পড়ে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া, গ্রিন রোড, কাঁঠালবাগান, কারওয়ানবাজার, তেজকুনি পাড়া, তেজতুরী বাজার গার্ডেন রোড, ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোড, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক ও মতিঝিল এলাকা। এছাড়া পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড, বংশাল রোড, বঙ্গভবন এলাকা, টিকাটুলি, মুগদা, খিলক্ষেত, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কিছু অংশে জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, খালগুলো দখলমুক্ত করে ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। প্রথমে খালে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে। এরপর খাল এলাকার সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন হলে বর্ষাকালে ডুববে না রাজধানী। মুষলধারে বৃষ্টি হলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পানি খাল ও ড্রেন দিয়ে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ, বালু নদীতে নেমে যাবে। তবে, আসন্ন বর্ষার আগে সব কাজ শেষ করা সম্ভব নয় বিধায় এবারও রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেবে— আশঙ্কা সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিদের।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায় থাকা খালগুলোর সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। ড্রোনের সাহায্যে সিএস জরিপ ও আরএস জরিপ ধরে খালের সীমানা পিলারের স্থান নির্ধারণ করা হচ্ছে। এরপর সেসব স্থানে বসানো হবে স্থায়ী পিলার। এছাড়া খালের পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন খালের ৪২টি স্পট খনন করবে ডিএনসিসি। এতে খালের পানি প্রবাহ ফিরে আসবে। ফলে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা অনেকাংশেই কমে যাবে। কাজটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুরের বসিলায় লাউতলা খালের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খাল খননের কাজ করে ডিএনসিসি। তারা বলছে, ডিএনসিসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের খালগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৭৫ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে খালগুলো থেকে প্রায় ৬৫ হাজার টন ভাসমান বর্জ্য এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য আরও প্রায় ১০ হাজার টন স্লাজ অপসারণ করেছে সংস্থাটি। ইতোমধ্যে যেসব খাল থেকে ভাসমান বর্জ্য ও স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে সেসব খালের পানিপ্রবাহও সচল করেছে ডিএনসিসি। বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে হলে প্রথমেই খালের পানির প্রবাহ ঠিক করতে হবে। খালের সীমানাগুলো নির্ধারণ হলেই আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব।
ডিএসসিসির কালুনগর, জিরানি, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল উদ্ধার করে সেগুলো দৃষ্টিনন্দন করতে ৯৮১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। খালগুলো উদ্ধার করে দুই পাড়ে বানানো হবে ওয়াকওয়ে, থাকবে বাইসাইকেল লেন, মাছ ধরার শেড, বাগান, ফোয়ারা, ফুটওভার ব্রিজ, ইকোপার্ক, পাবলিক টয়লেট, খেলার মাঠসহ নানা উদ্যোগ
‘খালের জায়গা যারা দখলে রেখেছেন, ভবন বানিয়েছেন তারা কেউই কিন্তু ছাড় পাবেন না। এগুলো আমরা গুঁড়িয়ে দেব। খালের পানি প্রবাহ ঠিক করতে আমরা কাজ করছি। খালের পানি প্রবাহ সচল থাকলে আশা করা যায় জলাবদ্ধতা থেকে রাজধানীবাসী মুক্তি পাবেন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর, কালুনগর খালগুলোর শাখা-প্রশাখা এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচার বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এসব খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে এক লাখ তিন হাজার ৫০০ টনের বেশি বর্জ্য এবং ছয় লাখ ৭৯ হাজার টন পলি অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াসার কাছ থেকে বুঝে পাওয়া অচল পাম্প স্টেশনগুলো সচল করা হয়েছে।
ডিএসসিসির কালুনগর, জিরানি, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল উদ্ধার করে সেগুলো দৃষ্টিনন্দন করতে ৯৮১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। খালগুলো উদ্ধার করে দুই পাড়ে বানানো হবে ওয়াকওয়ে, থাকবে বাইসাইকেল লেন, মাছ ধরার শেড, বাগান, ফোয়ারা, ফুটওভার ব্রিজ, ইকোপার্ক, পাবলিক টয়লেট, খেলার মাঠসহ নানা উদ্যোগ।
এছাড়া ধোলাইখাল, পান্থপথ ও সেগুনবাগিচার বক্স কালভার্ট পরিষ্কারে ৩০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ডিএসসিসি। তবে, এখন পর্যন্ত খালগুলো উদ্ধার করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পরিনি কর্তৃপক্ষ। তাদের আশা, ইতোমধ্যে যে কাজ হয়েছে তার সুফল আগের চেয়ে ভালো পাওয়া যাবে। তুলনামূলক জলাবদ্ধতা কমবে তবে, পুরোপুরি মুক্তি মিলবে না।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে এবার আরও বেশি সুফল পাবেন গরবাসী। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গত বছর কিছুটা সুফল পেয়েছি। এবার আরও বেশি পাব।দীর্ঘ মেয়াদি সমাধানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো খালগুলো স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা, রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং সেখানে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। যাতে বছর বছর খনন বা ময়লা অপসারণ করতে না হয়।
২০১৬ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ জরিপে বলা হয়, ঢাকায় খালের সংখ্যা ৫৮টি। সেখানে আরও বলা হয়, উল্লিখিত খালের ৩৭টি দখলে রয়েছে। দখল ও দূষণের কারণে খাল স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়েছে। কোনো কোনোটি পুরোপুরি ভরাট হয়ে গেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর দুই সিটি করপোরেশনের ওপর রাজধানীর দখল হওয়া খালগুলো উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর আগে ঢাকা ওয়াসা শহরের সব খাল, প্রায় ৩৮৫ কিলোমিটার নালা ও চারটি পাম্পস্টেশন রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছিল। এছাড়া দুই সিটি করপোরেশন দেখভাল করত প্রায় দুই হাজার ২১১ কিলোমিটার নালা। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের হাতে ছিল। এরপর পৌরসভা এ দায়িত্ব পালন করত। ১৯৮৮ সালে এটি ঢাকা ওয়াসাকে হস্তান্তর করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে রাজধানীর খালগুলো হস্তান্তর একটি ভালো উদ্যোগ। দায়িত্ব পাওয়ার পর সিটি করপোরেশন খালগুলো উদ্ধারে কাজ করছে। তবে রাজধানীবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তা না হলে প্রতি বছর খালগুলো শুধু খনন আর পরিষ্কার করা হবে, দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাওয়া যাবে না।
‘সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ক্ষমতা এখানে কাজে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে এ কাজে জনবল বাড়াতে হবে। ঢাকার খাল ও জলাশয়গুলো সুনির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে আনতে হবে। যেসব খাল সিটি করপোরেশনের আওতার বাইরে সেগুলোও সিটি করপোরেশনের হাতে ন্যস্ত করা জরুরি।’
নগরবিদরা বলছেন, সিটি করপোরেশনের খাল উদ্ধারের পাশাপাশি তদারকি কার্যক্রমও বাড়াতে হবে। অন্যথায় খালগুলো ফের দখলে চলে যাবে। খাল উদ্ধারের পাশাপাশি এর দুই পাড় সংরক্ষণের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।
এএসএস/এমএআর/