নিউ মার্কেটে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি নেতা মকবুল গ্রেপ্তার
নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার। মামলার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, নিউ মার্কেট ও ঢাকা কলেজ সংঘর্ষে বেআইনি জনতাবদ্ধে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান, পুলিশের ওপর আক্রমণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জখম ও ভাঙচুর করার অপরাধে নিউ মার্কেট থানার মামলার এক নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট মকবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে নিউ মার্কেট থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে, সোমবার রাতে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। বুধবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সংঘর্ষের ঘটনায় মারা গেছেন দুজন, আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে নিউ মার্কেট থানায়। এর মধ্যে একটি পুলিশের ওপর হামলার দায়ে, আরেকটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। অন্যদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় অজ্ঞাত আসামি ২০০ জন।
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন— অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি।
নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যে দুটি দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেগুলো সিটি করপোরেশন থেকে তার নামে বরাদ্দ দেওয়া। মকবুল আবার দোকান দুটি রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
এমএসি/আরএইচ