রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

যদিও সংঘর্ষের পেছনে দায়ীদের চেহারা ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলাসহ মোট তিনটি মামলা হলেও গ্রেপ্তার এখনো শূন্য। 

সোমবার রাতে ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। বুধবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সংঘর্ষের ঘটনায় মারা গেছেন দুজন, আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।

মামলা ও সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার পরও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারেনি তা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। 

পুলিশ অবশ্য নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে। তারা বলছে, গুরুত্ব সহকারে মামলার তদন্ত চলছে। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা না গেলেও এ ঘটনায় পুলিশ কমপক্ষে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া তিনটি মামলাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত নাহিদ (১৮) নামে এক তরুণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে মারা যান। তিনি একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মোরসালিন (২৬) নামে আরেক তরুণ। তিনি একটি দোকানে কাজ করতেন ।

নাহিদের মৃত্যুর ঘটনায় তার চাচা গতকাল (বুধবার) রাতে বাদী হয়ে নিউ মার্কেট থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে আরও দুইটি মামলা করে একই থানায়। এর মধ্যে একটি পুলিশের ওপর হামলার দায়ে, আরেকটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা হয়েছে।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় অজ্ঞাত আসামি ২০০ জন।

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় যাদের নাম দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন— অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।

এদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি।

এমএসি/আরএইচ/জেএস