চট্টগ্রামে গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনায় জঙ্গির কারাদণ্ড
চার বছর আগে চট্টগ্রামের সদরঘাট থানার একটি বাড়ি থেকে ১০টি তাজা গ্রেনেড ও দুটি সুইসাইড ভেস্ট উদ্ধারের ঘটনায় নব্য জেএমবির এক সদস্যকে সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম মো. রাকিবুল হাসান। রাকিবুল হাসান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোদালা কাটা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মনোরঞ্জন দাশ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ রায় দিয়েছেন। রায়ে সন্ত্রাস দমন আইনের ৬ (২) ধারায় ৫ বছরের ও একই আইনের ৮ ধারায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই ঘটনায় অন্য আরেক আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে চলছে।
আশফাকুর রহমান ওরফে আবু মাহির আল বাঙালির বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। ২০১৮ সালে গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি রাতে সদরঘাট থানার শুভপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ভবনের পঞ্চম তলায় সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হয় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সেখান থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসায় তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ১০টি তাজা গ্রেনেড, দুটি সুইসাইড ভেস্ট, দুটি মোবাইল।
এছাড়া দুটি হাতে আঁকা মানচিত্র পাওয়া গেছে, যার একটিতে সদরঘাট থানা এবং অন্যটিতে সদরঘাট থানার আশপাশের এলাকাসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তথ্য উল্লেখ রয়েছে। এরপর গ্রেপ্তার দুই জঙ্গির বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় একটি মামলা করেছিলেন তৎকালীন নগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্য পুলিশ পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।
কেএম/এমএইচএস