অনলাইন শপিং মেলায় অভিযান, ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ
রাজধানীর গুলশানে অনলাইন শপিং মেলায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অভিযানে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা দল।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের টিমের অভিযানে দেখা গেছে, মেলায় অংশ নেওয়া ১৯টির মধ্যে মাত্র দুটির ভ্যাট নিবন্ধন পেয়েছে। তবে তারা নিয়মিত ভ্যাট ও রিটার্ন দেয় না। অন্যদিকে বাকি ১৭টির কোনো ভ্যাট নিবন্ধন নেই।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, মেলায় অংশ নেওয়া সবগুলো স্টলের মালিকের অনলাইন বিক্রয়ের নিজস্ব ফেসবুক পেজ রয়েছে। তারা প্রত্যেকে প্রদর্শনী করে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে। ভ্যাট গোয়েন্দা দল ভ্যাট আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করবে।
মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- সানাহ শরিফ, মারাভ বাই নাজিয়া, আবহমান বাই রাফিয়া, লা ডিমোরা, মেরি নেশন, লাহা, সুজানাজ, সোনিয়া মমতাজ, হ্যাভেনলি ডেজার, রেড চেরি, তাইয়াবাজ ক্লোজেট, সামার বাই সানজিদা, জাইয়ানা বাই সুমনা, এফএসকে ফ্যাশন, হোয়াইট ব্লজম, সুজানাজ ক্লোজেট, মহুয়া শরফুদ্দিন, হেনা, শারকিয়া।
ভ্যাট গোয়েন্দা জানায়, রাজধানীর গুলশানে এক নম্বরে ‘ও প্লে’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে শুক্রবার দিনব্যাপী এই মেলায় ১৯টি অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। ওই রেস্টুরেন্টের উদ্যোগে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল বিকেল ৪টায় ক্রেতা সমাগম দেখতে পান। এরপরই অভিযান চালানো হয়।
১৯টি স্টলের মধ্যে নারীদের ড্রেস ও জুয়েলারির সামগ্রী বেশি ছিল। ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না। অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য এবং প্রতি মাসের হিসাব পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট অফিসে রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, গুলশানের রেস্টুরেন্টটি এর আগেও দুবার একই প্রাঙ্গণে অনুরূপ মেলার আয়োজন করেছিল। তখনও ভ্যাট নিবন্ধন ব্যতিরেকে পণ্য বিক্রয় হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দার দল প্রত্যেক স্টল মালিকের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক তথ্য সংগ্রহ করেছে।
আরএম/আরএইচ/ওএফ