প্রধানমন্ত্রীর সুদূর চিন্তায় মোংলা বন্দরে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গভীর দেশপ্রেম, অসামান্য প্রজ্ঞা, সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা আজ নতুন মাত্রায় উপনীত হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দুটি ৭০ টন বোলার্ড পুল টাগবোট সংগ্রহের চুক্তির জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
হংকংয়ের চিউ লি শিপইয়ার্ডে টাগবোট দুটি নির্মিত হবে। এক বছরের মধ্যে টাগবোট দুটি মোংলা বন্দরের জাহাজ বহরে সংযোজিত হবে। এতে ১৭৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা এবং চিউ লি শিপইয়ার্ডের পক্ষে স্থানীয় প্রতিনিধি ই-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমীন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ২০০৯ সালে সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ সমুদ্রবন্দরে নতুন করে প্রাণসঞ্চার হয়। মৃতপ্রায় এ বন্দরকে জীবিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোংলা বন্দরের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন প্রকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চলমান রয়েছে। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার সহায়ক জাহাজ ও বোট সমৃদ্ধ বহরে জন্য বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় জাহাজ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, টাগবোট সংগ্রহ এবং ড্রেজিং প্রকল্প সরকার অনুমোদন দিয়েছে।
বর্তমানে মোংলা বন্দরে ২০ থেকে ৩০ টনের পাঁচটি টাগবোট রয়েছে। বন্দরে আসা বড় বড় বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ বার্থিং/আনবার্থিংয়ে সহায়তা দেওয়া টাগবোটের মূল কাজ।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ্ উদ্দীন চৌধুরী।
এইউএ/আরএইচ