কবরী রানী সরকার /ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর লালবাগের আজিমপুরের দক্ষিণ কলোনির বাসার নিচতলা থেকে কবরী রানী সরকার (৩২) নামের এক সিনিয়র স্টাফ নার্সের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহত কবরী রানীর ভাই রাজীর কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার বোনের স্বামী রূপম তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, এক বছর আগে ফেসবুকে ডা. রূপম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা তারা দুজনে বিয়ে করে। আমার বোনের আগের ঘরের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রথমে সে ডাক্তার পরিচয় দিলেও পরে জানা যায় সেটি ভুয়া। আমার বোনকে বিভিন্ন সময় ভুলিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে একজন প্রতারক। আমার বোন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। সে আমার বোনকে হত্যা করে বাচ্চাদের বলেছে, অ্যাম্বুলেন্স আনতে বাহিরে যাচ্ছি। এ কথা বলার পর সে পালিয়েছে, তার মোবাইল ফোন বন্ধ।

রাজীর কুমার আরও বলেন, বোনের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ব্যবসা ও বাড়ি করার কথা বলে লাখ লাখ টাকা ফাঁদে ফেলে নিয়ে গেছে। বোন টাকা দিতে না চাওয়ায় তার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করত। আমার বোন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার দুই সন্তানকে নিয়ে আজিমপুর দক্ষিণ কলোনির ৩০/বি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

লালবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজয় কৃষ্ণ পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ৯৯৯ খবর পেয়ে আজিমপুর দক্ষিণ কলোনি ৩০/বি নম্বর বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে তার গলায় ফাঁস দেওয়ার দাগ পেয়েছি। তাতে মনে হচ্ছে, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের দাবি, তার বর্তমান স্বামী রূপম তাকে হত্যা করে ফাঁসির দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো মামলা করতে থানায় আসেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এসএএ/ওএফ