‘ন্যায্য ভোট করতে পারবেন না’
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উদ্দেশে ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেছেন, আপনারা ন্যায্য ভোট করতে পারবেন না। যদি ৫০ শতাংশও সুষ্ঠু ভোট করতে পারেন তাহলে আপনাদের সালাম।
বুধবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাওঁয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের নিয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বিগত মাসেও শিক্ষাবিদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করে ইসি।
বিজ্ঞাপন
ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন বলেন, সারাদেশে একদিনে কেন নির্বাচন করতে হবে? বিভিন্ন জেলা ভাগ করে নির্বাচন করতে পারলে ভালো হয়। পর্যায়ক্রমে কয়েকদিনে নির্বাচন করলে ভোট সুষ্ঠু করা সম্ভব।
তিনি বলেন, নির্বাচনে বেশিরভাগই দায়িত্ব পালন করেন প্রতিনিধিদের আত্মীয়স্বজনরা। যে জেলায় নির্বাচন হয়, সেই জেলার সরকারি কর্মকর্তারা ভোটের দায়িত্ব পালন করেন। যদি এমনই হয় তাহলে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকে।
কমিশনকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনাদের আরও হোমওয়ার্ক করতে হবে। প্রত্যেক প্রার্থীদের নিয়ে আপনাদের হোমওয়ার্ক করতে হবে। প্রত্যেক নির্বাচনে তারা কিভাবে এতো ভোট পায়। এটার কারণ বের করতে হবে।
দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় দফার সংলাপে ২৩ সম্পাদকসহ ৩৪ জন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ১১ জন ডাকে সাড়া দেননি।
ইসির আমন্ত্রণে যারা সাড়া দিয়েছেন
আনিসুল হক প্রথম আলো, সোহরাব হাসান প্রথম আলো, অজয় দাস গুপ্ত সিনিয়র সাংবাদিক, দুলাল আহমেদ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মানবকন্ঠ, হাশেম রেজা সম্পাদক আমার সংবাদ, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, বিভু রঞ্জন সরকার সিনিয়র সাংবাদিক, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
ডেইলি অবজারভার অনলাইন ইনচার্জ কাজী আব্দুল হান্নান, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহবুব কামাল, ভোরের ডাক সম্পাদক কে এম বেলায়েত হোসেন, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রতিদিনের সংবাদ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকা সম্পাদক ড. মো. গোলাম রহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডেইলি স্টারের এক্সিকিউটিভ এডিটর সৈয়দ আশফাকুল হক, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন এর আগে ১৩ মার্চ প্রথম দফায় ৩০ শিক্ষাবিদকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাতে ১৭ জনই সাড়া দেননি। দ্বিতীয় দফার সংলাপে ৪০ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হলেও পরে একজনকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তখন ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে সংলাপে অংশ নেন ১৯ জন।
এসআর/এমএইচএস