খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিত্যপণ্যের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকা, মূল্যবৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকার রিং রোডের প্রিন্স বাজার ও আগোরা সুপার শপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মামলার মাধ্যমে জরিমানা করেছে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে অঞ্চল ৫ এর মোহাম্মদপুর এলাকার রিং রোডের প্রিন্স বাজার ও আগোরা সুপার শপে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ। এ সময় বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে কয়েকটি ধারায় তিন মামলায় ৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অন্যদিকে অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০), ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ৩৭টি ভবন, স্থাপনা, জলাশয়, রেস্টুরেন্ট ও দোকান পরিদর্শন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলী। সবার ঢাকা অ্যাপের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেন তিনি। অভিযানে দুটি দোকানের ট্রেড লাইসেন্স না থাকায় স্থানীয় সরকার (ঢাকা সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৯২(৩ ও ৭) ধারায় দুটি মামলায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রায় ২৫০মিটার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে একটি হোটেলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অন্যদিকে অঞ্চল-৭ এর ওয়ার্ড নম্বর-৪৭, ৪৮ ও ৫০ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন। দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা মোতাবেক বিক্রি হচ্ছে কিনা ও স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করেন তিনি।

অপরদিকে অঞ্চল ২ এর ওয়ার্ড নম্বর ৬ রূপনগর থানা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। তিনি ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে হোটেল, রেস্তোরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিনটি মামলায় মোট সাড়ে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এএসএস/ওএফ