আমি ব্যবসায়ী এটাই আমার অপরাধ : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা এবং সুশীল সমাজের লোকজন প্রায়ই ‘ব্যবসায়ী’ বলে কটাক্ষ করেন। আজ সংসদে এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী অনুযোগ করে বলেন ‘আমি ব্যবসায়ী, এটাই আমার অপরাধ!’
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২ উত্থাপন করলে বিলের ওপর জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে জনমত যাচাইয়ের আলোচনায় অংশ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের শীর্ষস্থানীয় সফল ব্যবসায়ী। মন্ত্রী হিসেবে তিনি কতটুকু সফল সেটা বলতে না পারলেও বাজারে গেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সেটি ভালোভাবে জানা যাবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দাবি করে তারা ব্যবসাবান্ধব। যে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী, সেই সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসাবান্ধব হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমি বরাবরই লক্ষ্য করি, কেউ আমার মন্ত্রণালয়ের কোনো কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই তো ব্যবসায়ী! আমি ব্যবসা করি আজ ৪০ বছর, আর রাজনীতি করি ৫৬ বছর। ১৯৬৬ সাল থেকে রাজনীতি শুরু করেছি কিন্তু রাজনীতিবিদ হতে পারলাম না। এই ঢাকা শহরে ১৯৭৩ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। ৬৯ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার, কোনো উকিল বা ডাক্তার যখন পার্লামেন্টে মেম্বার হন তখন কেউ বলে না এখানে উকিল বা ডাক্তার কেন এসেছে? কিন্তু আমি ব্যবসায়ী, এটা আমার অপরাধ!
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য আমার, আমি কেন যে ব্যবসায়ী হলাম। আমাকে বার বার এ কথাটাই শুনতে হয়। এ দুঃখ যাবে না। সেই ১৯৬৯ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছি। ১৯৬৬ সালে মূল রাজনীতিতে ঢুকেছি। বাবাসহ একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে এই বক্তৃতা দিচ্ছি ১৯৭৩ সালে আমি এই এলাকার ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। দুর্ভাগ্য আমার, তবুও আমি ব্যবসায়ী!
মন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই জানি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমি কখনোই বলিনি যে যুদ্ধের কারণে তেলের দাম বেড়েছে। বারবার বলেছি, সরকার ব্যবসা-বাণিজ্যে সহযোগিতা করতে চায়। যে কেউ চাইলে তেল আনতে পারেন। তেল আনতে কোনো বাধা নেই। সরকার চেষ্টা করে যাতে সবাই ন্যায্যমূল্য পায়।
এইউএ/আইএসএইচ/জেএস