মহাসড়ক ছাড়া দেশের সর্বত্র ইজিবাইক ও থ্রী-হুইলার চলাচলের অনুমতিতে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশে স্বস্তি প্রকাশ করেছে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। একইসঙ্গে সংগঠনটি সড়ক-মহাসড়কে বিকল্প লেনের দাবিও জানিয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পরিষদের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমনের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সারাদেশের চালক, মেকানিক, ক্ষুদে মালিক, গ্যারেজ মালিকসহ প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ইজিবাইকসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এর সঙ্গে তাদের উপর নির্ভরশীল প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি মানুষ। সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশ তাদের জীবনে সাময়িক স্বস্তি আসলেও পুরো সংকট নিরসন হবে না। দেশের সড়ক-মহাসড়কসমূহ জেলা-উপজেলাসহ বাজারের পাশ দিয়ে বা উপর দিয়ে গিয়েছে। ফলে গণপরিবহন না থাকায় ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন ছাড়া এ সমস্ত স্থানে চলাচল করা অত্যন্ত কঠিন। মহাসড়কে ইজিবাইকসহ স্বল্প গতির ও লোকাল যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক লেন বা সার্ভিস রোড নির্মাণ না করলে সড়ক-মহাসড়কে সার্বিক শৃঙ্খলা যানজট নিরসন করা যাবে না।’

আরও বলা হয়, অবিলম্বে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য সরকার প্রণীত ‘থ্রী-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা- ২০২১’ এর দ্রুত চূড়ান্ত ও কার্যকর, নীতিমালার আলোকে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, রুট পারমিট ও লাইসেন্স প্রদান এবং মহাসড়কে স্বল্প গতির যানবাহনের জন্য পৃথক রোড বা সার্ভিস রোড নির্মাণ করাসহ সংগ্রাম পরিষদের ৬ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলতে হবে।

এমএইচএন/আইএসএইচ