টিপ পরা নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত কনস্টেবলকে তদন্তের স্বার্থে বরখাস্ত করা হয়েছে— উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশের তদন্ত নিয়ে যাতে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে এবং গাফিলতির কোনো অভিযোগ না ওঠে সেজন্য ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে অভিযোগকারীকে

ডিএমপি কমিশনার বলেন, অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে। পুলিশ যে তদন্তে আন্তরিক, গাফিলতির সুযোগ নেই— এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তবে যিনি ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন, তাকে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি তদন্ত করছে। অভিযোগকারীকে প্রমাণ করতে হবে আসলে ঘটনাটি ঘটেছে এবং পুলিশ সদস্য এতে জড়িত।

তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষিকা গত শনিবার অভিযোগ করেন, তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত এক ব্যক্তি তাকে উত্ত্যক্ত করেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগটি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।

সোমবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে জানান অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম নাজমুল তারেক। পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থেকে তিনি ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন। 

শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ওই নারী প্রভাষক সকাল ৮টা ২০ মিনিট থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ফার্মগেট মোড় পার হয়ে তেজগাঁও কলেজের দিকে যাওয়ার সময় সেজান পয়েন্টের সামনে মোটরবাইকের ওপর বসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘ওই, টিপ পরছোস ক্যান’? শিক্ষিকা পেছন ফিরে প্রতিবাদ করলে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা ওই ব্যক্তি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন (লেখার যোগ্য নয়)।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গালিগালাজের এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি নারী প্রভাষকের গায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই নারী পিছিয়ে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান। তবে মোটর সাইকেলের চাকা তার পায়ের ওপর দিয়ে যায়। এতে তিনি সামান্য আহত হন।

জেইউ/আরএইচ/জেএস