চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় বাসের চাপায় আদিব (৭) নামে এক শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসের চালক ও সহযোগীকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রোববার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের আটকের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল।

তিনি বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে নতুন ব্রিজ এলাকায় বাসচাপায় এক শিশু নিহত হয়। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাস চালক ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। 

এর আগে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় বাসের চাপায় আদিব (৭) নামে এক শিশু নিহত হয়।

নিহত মো. আদিব রহমান হালিশহর থানার বড়োপোল এলাকার মইন্যাপাড়ার একটি মাদরাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। সে চন্দনাইশের বৈলতলী এলাকার মৃত সায়েম মাহমুদের ছেলে।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদিবকে হাসপাতালে নেওয়া শাহজালাল জানান— তারা বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজের মুখে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। অপর পাশ থেকে দ্রুতগামী বাস এসে আদিবকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আদিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)  হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের চাচা শাহজালাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রামের বাড়ি থেকে হালিশহরের মাদরাসা যাওয়ার জন্য চাচা-ভাতিজা রওনা করেছিলাম। বাস থেকে নেমে নতুন ব্রিজ এলাকায় সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় দ্রুতগতির একটি মিনিবাস আরেকটি বাসকে অতিক্রম করতে গিয়ে আমাদের চাপা দেয়। এতে আমি হাত, পা ও পিঠে আঘাত পেয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু আমাদের আদরের আদিবকে বাসটা মেরে ফেলল।

তিনি বলেন, আদিব হালিশহরের যে মাদরাসায় হেফজ বিভাগে পড়ত। সে মাদরাসায় আমিও কাজ করি। তাই দুই জন একসঙ্গে বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাচ্ছিলাম।

তিনি আরও বলেন, আদিব কোরআনে হাফেজ হতে চেয়েছিল। সে আমপাড়া শেষ করেছিল। আরও কিছুদিন পড়ে কোরআন মুখস্থ করা শুরু করত। আমাদের সবার ইচ্ছে ছিল আদিব কোরআনে হাফেজ হবে। তারও ইচ্ছে ছিল।

কেএম/এসএসএইচ