চাঁদ দেখা গেছে, রোববার থেকে রোজা
বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৩ হিজরির পবিত্র মাহে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। আজ (শনিবার) রাতে তারাবি নামাজ আদায় ও শেষ রাতে সাহরি খেয়ে রোববার (৩ এপ্রিল) প্রথম দিনের রোজা পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে আয়োজিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সভায় জানানো হয়, ২৬ রমজান অর্থাৎ আগামী ২৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, আজ শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আকাশে শুক্রবার (১ এপ্রিল) পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। ফলে দেশগুলোতে শনিবার প্রথম রোজা পালন করা হয়।
ইসলামিক বিধান অনুযায়ী রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় শুক্রবার দিবাগত রাতে সাহরি খেয়ে শনিবার রোজা রাখছেন সেসব দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়।
সারা দেশে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহ্বান
পবিত্র রমজান মাসে দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবির নামাজ পড়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। ৩০ মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে দেশের প্রায় সব মসজিদে খতম তারাবি নামাজে পবিত্র কোরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত করার রেওয়াজ চালু আছে। তবে কোনো কোনো মসজিদে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। এতে করে কর্ম উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের মধ্যে কোরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না।
এ অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতি নিরসনকল্পে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমজান রাতে, অর্থাৎ পবিত্র শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করা সম্ভব।
এমতাবস্থায় দেশের সব মসজিদে খতম তারাবিহ নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কোরআন খতমের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সারা দেশের সব মসজিদের সম্মানিত খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবার কাছে বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
ইফতার, তারাবি নামাজ ও সেহরির সময় লোডশেডিং নয়
পবিত্র রমজান মাসে ইফতার, তারাবি নামাজ ও সেহরির সময় লোডশেডিং না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৯ মার্চ বিদ্যুৎ ভবনে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এমএইচএন/আরএইচ