পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে সরকার। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মন্ত্রণালয়, দপ্তরের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের মতের ভিত্তিতে এ পরিকল্পনা প্রণীত হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। পরিকল্পনা মোতাবেক মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম হবে বাংলাদেশ।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রাক-যাচাইকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু অভিযোজনের জন্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নত বিশ্ব অর্থ, প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ কাজে অন্য সব মন্ত্রণালয়কে সহযোগিতা দেবে। সরকার জনগণের খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। 

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যৎসামান্য গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপাদন করলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রশমনে সাধ্যমতো কাজ করা হচ্ছে। গ্রিনহাউজ গ্যাস উৎপাদনের জন্যে দায়ী বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, ন্যাপ প্রণয়ন প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ আবাসিক প্রতিনিধি ভ্যান ন্যুয়েন প্রমুখ। 

খসড়া পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন এর প্রণয়ন কমিটির টিম লিডার বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ এমিরেটস অধ্যাপক ডক্টর আইনুন নিশাত এবং সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা খসড়া জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পরামর্শ দেন। 

এমএইচএন/আরএইচ