চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার অভিযোগে দুই মামলা, আসামি ৩
চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার ইস্পাহানি সি গেট ও ফয়েস লেক এলাকায় পাহাড় কাটার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইন ও মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় মামলা দুইটি দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, ২৭ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ইস্পাহানি সি গেট এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে পাহাড় কাটার আলামত দেখতে পান। পরিদর্শনকালে জানতে পারেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নির্দেশে পাহাড় কাটা হয়েছে। পরে জসিম উদ্দিনকে শুনানির নোটিশ দেওয়া হয়।। গতকাল বুধবার শুনানি গ্রহণ করা হয়। কাটা ভূমির মালিক তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। দলিল ও জমির খতিয়ান পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, ঘটনাস্থলের অবস্থান উত্তর পাহাড়তলীতে, যা টিলা শ্রেণিভুক্ত। পরে আজ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী সাবিহা ইয়াসমিন ও তার স্বামী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক বলেন, নগরীর আকবরশাহ থানার ফয়েস লেক এলাকার রোড স্পাইসি গলি সংলগ্ন স্পটে পাহাড় কাটার অভিযোগে মো. জাফর আহম্মদের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩১ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মতিন ও পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইনের নেতৃত্ব একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে তিন-চার জন শ্রমিক করে পাহাড় কাটতে দেখতে পান।
তদন্তকালে জানতে পারেন মোহাম্মদ জাফর আহম্মদের নির্দেশে পাহাড় কাটা হয়েছে। পরে জসিম উদ্দিনকে শুনানির নোটিশ দেওয়া হয়। আজ শুনানি শেষে তার নামে আকবর শাহ থানায় মামলা দায়ের করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসাইন।
উল্লেখ্য, একই এলাকায় আগেও মো. জাফর আহমেদ পাহাড় কেটেছিলেন। এই কারণে তাকে ২ লাখ ২৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
কেএম/এসকেডি