অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ সিকদারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সূত্রাপুরে মাইশা খালের জমি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খানের নেতৃত্বে বক্স কালভার্ট রোডের উভয় পাশে নির্মিত স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বুধবার (৩০ মার্চ) সূত্রাপুরে মাইশা খালের জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১০টি অবৈধ স্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দীর্ঘ ৮ দশক ধরে সেই জায়গা দখল করে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছিল।

এদিকে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোডের অভিযানে একটি রাজনৈতিক দলের আধা-পকা অবৈধ কার্যালয়সহ ৬টি স্থায়ী অবৈধ স্থাপনা এবং ১২/১৩টি অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে কমলাপুর থেকে ফকিরাপুল পর্যন্ত বক্স কালভার্ট রোডের উভয় পাশের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

বক্স কালভার্ট রোডে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে পরিচালিত অভিযান প্রসঙ্গে দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিফা খান বলেন, বক্স কালভার্ট রোডের উভয় পাশে অনেকগুলো স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা ছিল। আজকের অভিযানের সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সূত্রাপুরের মাইশা খালের জমি উদ্ধারে অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, সূত্রাপুরের যে জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয় তা মাইশা খাল নামে অধিক পরিচিত। জায়গাটি করপোরেশনের আওতাধীন শহর মৌজা ২০৪ ও ২১০ সিএস দাগের জমি, যা জনসাধারণের ব্যবহার্য পানি নিষ্কাশনের ড্রেন হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামে রেকর্ডভুক্ত। সেই জায়গা গত প্রায় ৮ দশক যাবত বেদখল ছিল। অভিযানের মাধ্যমে এই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ১৩টি তিনতলা ভবন এবং ২০টি একতলা সেমিপাকা বিল্ডিং উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। দুদিনের অভিযানে ১০টি স্থায়ী-অস্থায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় দিনের মতো পরিচালিত সূত্রাপুর মাইশা খালের জমি উদ্ধার অভিযানে করপোরেশনের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/এসকেডি