সৌদি আরব বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সেদেশের জন্য জমি বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে সৌদি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পার্লামেন্টে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সৌদি আরবের বিনিয়োগকে স্বাগত জানায়। বিনিয়োগকারীরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য জমি পছন্দ করতে পারেন।’

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী এক্সপো-২০৩০ আয়োজনের জন্য সৌদি আরবকে সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে তাদের প্রার্থীর প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন।

শেখ হাসিনা মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে আলোচনার মাধ্যমে তাদের মধ্যকার বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে তৃতীয় পক্ষ বা কোনো দেশকে বাইরে থেকে আমন্ত্রণ জানাবেন না।’
 
সৌদি রাষ্ট্রদূত দেশটির বাদশাহর পক্ষ থেকে ১০ কেজি (কিলোগ্রাম) ওজনের স্বর্ণ ও রৌপ্যের তৈরি পবিত্র কুরআনের আয়াত উৎকীর্ণ একটি গিলাফ হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রধান, যিনি সৌদি আরবের বাদশাহর পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি গিলাফ গ্রহণ করলেন।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপহারের জন্য সৌদি বাদশাহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশি মানুষের হৃদয়ে সৌদি আরবের জন্য একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।’

দুটি পবিত্র মসজিদের খাদেমের দায়িত্ব পালন ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি অবদান রাখার জন্য শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজকে শুভেচ্ছা জানান।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিযোগে আগ্রহী।’
তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন, সংস্কৃতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বহুমুখী সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দেশ দুটির কর্মকর্তাদের মধ্যে সফর বিনিময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে সহায়ক হবে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।

আরএইচ