অ্যামনেস্টির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া ২০২১ সালের ছবি

২০২১ সালে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে খর্ব হয়েছে বলে মনে করছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি তাদের দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস হিউম্যান রাইটস শিরোনামের বার্ষিক এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরেছে। 

সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হয়ে উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুম, বেআইনিভাবে আটক, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি অ্যামনেস্টির। কখনও কখনও এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগও করা  হয়েছে।  

কোভিড ১৯ মহামারির সময়ে নারীর প্রতি নির্যাতনের মাত্রাও বেড়েছে। সহিংসতা মুখে পড়তে হয়েছে সংখ্যালঘু  সম্প্রদায়ের লোকেদেরও।  

প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তারসহ কয়কটি ঘটনারও উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি। এছাড়া সরকার বেশ কিছু ওয়েবসাইটও বন্ধ করেছে।    

এছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়িতে হামলা ও পুজামণ্ডপে হামলা চালানোর কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আগের ঘটনাগুলোর বিচার না হওয়াকেই মূলত দায়ী করা হয়েছে।  

আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য দিয়ে অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে রাজনৈতিক সংঘাতে ১৫৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৩৩ জন। 

বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথবা বছরজুড়েই তাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। 

নির্যাতনের প্রসঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের প্রসঙ্গ টেনেছে অ্যামনেস্টি। সঙ্গে লেখক মুশতাক আহমেদের কথাও বলেছে তারা। 

আইন ও শালিস কেন্দ্রের তথ্য দিয়ে ২০২১ সালে ৮০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি।  

এনএফ