সাগর-রুনি হত্যার বিচার পেতে ‘সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের ঘোষণা
‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক ক্ষেত্রেই সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। যদি সেরকম পদক্ষেপ সাগর-রুনির ক্ষেত্রেও নিতেন, তবে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ৯ বছরে গড়াতো না। এখনও বিচার না হওয়ার কারণে আমরা হতাশ। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দেখতে এবং জানতে চাই কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত।’
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা প্রধান রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম চার বছর মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে আমরা প্রত্যেক মাসের ১১ তারিখে মানববন্ধন করেছি। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এরপর পাঁচ বছর কেটে গেছে, অবস্থা এখনও একই রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও র্যাবের কাছে বারবার জানতে চাইলেও তারা আমাদের এড়িয়ে গেছে। আমরা চাই, দেরিতে হলেও আমাদের সহকর্মী হত্যার বিচার হোক।
ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী বলেন, আমরা একমাসের মধ্যে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোকে নিয়ে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করব। এর মধ্যদিয়ে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা করব। যতদিন পর্যন্ত সাগর-রুনি হত্যার বিচার না হবে, ততদিন পর্যন্ত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ বলেন, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ এ পর্যন্ত ৭৮ বার পিছিয়েছে। যে কর্মকর্তা বা যারা এ তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বে ছিলেন, তাদের অপসারণ করার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের চৌকস তদন্ত কর্মকর্তারা কোনো ক্লু ছাড়াই একটা ঘটনার দোষীদের খুঁজে বের করতে পারেন, অথচ খুনিদের কেন খুঁজে বের করতে পারছেন না, তা আমার জানা নেই। তাহলে কি তাদের ভূতে হত্যা করেছে?
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সাগর-রুনির একমাত্র ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ, ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক প্রমুখ।
এইচএন/আরএইচ/এসএম