জলবায়ু পরিবর্তনে মোট জিডিপির ১.৩২ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে দেশের মোট জিডিপির ক্ষতি হয়েছে ১.৩২ শতাংশ; টাকার হিসেবে যা এক লাখ ৭৯ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ।
আজ মঙ্গলবার নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ পরিবেশ পরিসংখ্যান -২০২০’ রিপোর্ট প্রকাশ করে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান শক্তিশালীকরণ (ইসিডিএস) প্রকল্প পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
প্রবন্ধ উপস্থাপনে জানানো হয়, বর্তমান সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন আলোচিত একটি বিষয়। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও নদীবিধৌত ব-দ্বীপ বাংলাদেশ আরও প্রাকৃতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ ও ভূ-পৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবে জলবায়ুতে পরিবর্তন হচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশে একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত ছয় বছরে (২০১৫-২০২০) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার। এর মধ্যে শষ্য খাতে ২৮.৯০ শতাংশ, প্রাণিসম্পদে ৩.৯৮ শতাংশ, পোলট্রিতে ১.৫১ শতাংশ, মৎস্য খাতে ৩.৭১ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, জমি (ভূমি) অবক্ষয়েও বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিবছর। বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, অবকাঠামো প্রভৃতি খাতে ৭.৩৮ এবং খানাভিত্তিক সামাজিক বনসহ উঠানের গাছ-পালায় ১.৯৬ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বৃহৎ কৃষি খাতে (শস্য, প্রাণিসম্পদ, পোল্ট্রি, মৎস্য, বন) সর্বমোট ৭১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে বন্যায় ১০ হাজার ১০৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নদী ভাঙনে ২ হাজার ৬৮ কোটি, ঘূর্ণিঝড়ে ২ হাজার ৫৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। জলবায়ুর কারণে গত ছয় বছরে পরিবারভিত্তিক ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে শস্য খাতে ৩৬.২০ শতাংশ, প্রাণিসম্পদে ৪.৭৬ শতাংশ, পোল্ট্রিতে ১.২১ শতাংশ, মৎস খাতে ৫.৮২ শতাংশ, জমিতে ২৬.৭২ শতাংশ ও বসতঘর, রান্নাঘরে ১৭.১৯ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
এসআর/এনএফ