আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আবারও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে জাল নোট তৈরির চক্র। তেমনি একটি চক্রকে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় জাল নোট সিন্ডিকেটের মূলহোতা সাইফুদ্দিনসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ মার্চ) চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান।

তিনি বলেন, আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মার্কেটে ক্রয়-বিক্রয় বেড়ে গেছে। আর সেই সুযোগে জোল নোট তৈরির চক্রটি তাদের জাল টাকা গুলো আসল টাকা হিসেবে চালিয়ে দেয়। এছাড়াও তারা এই জাল টাকা ব্যবহার করে মায়ানমার থেকে অবৈধ পথে আসা ইয়াবা এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় করত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (২৭ মার্চ) কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার মঞ্জুর কমপ্লেক্সের একটি কম্পিউটারের দোকানের ভেতর থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে৷ তারা কুতুবদিয়া এলাকায় জাল নোট তৈরি করত। তারপর সেগুলোকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দিত। এসময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশি জাল নোট প্রস্তুতের কাজে ব্যবহৃত থিঙ্কপ্যাড, ল্যাপটপ, নোটপ্যাড, এলইডি মনিটর, কালার প্রিন্টার, ফটোকপি প্রিন্টার ও অন্যান্য আরও অনেক সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এ সময় ১৬ লাখ টাকার জাল নোট জব্দ করা হয়। প্রতিটি জাল নোটই ১০০০ টাকার।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেন, আটককৃতরা একটি সংগঠিত জাল নোট তৈরি সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। শহরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকায় তারা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়াকে জাল টাকা ছাপানোর জন্য সঠিক স্থান হিসেবে নির্বাচন করেন। আটক ছাইফুদ্দীন আহাম্মদ মিজান এই অবৈধ জাল নোট সিন্ডিকেটের মূলহোতা। আর সাইফুল ইসলাম কম্পিউটার বা ল্যাপটপে জাল টাকা গুলো প্রস্তুত করে কালার প্রিন্টারে প্রিন্ট করত। আসামি মিসবাহ উদ্দিন জাল টাকাগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় আসল টাকা হিসেবে তাদের চক্রের নির্ধারিত লোকের নিকট চালানোর ব্যবস্থা নিত। আর আটক মো. জিয়াউদ্দিন জাল টাকা তৈরির সময় দোকানের দরজায় পাহাড়ায় নিয়োজিত থাকত।

র‌্যাব-৭ এর উপ- অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান বলেন, এই চক্রটি চার বছর ধরে জাল টাকার কাজ করছে। 

কেএম/আইএসএইচ