চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবকে মাথার খুলির একটি হাড় প্রতিস্থাপন করতে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে তার মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো অস্ত্রোপচার শুরু হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, চমেক হাসপাতালে আকিবের মাথার খুলির হাড়ের অংশের প্রতিস্থাপনে অস্ত্রোপচার চলছে। চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের তত্বাবধানে সকাল সাড়ে ১০টায় অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের অধীনে আকিবের এই অস্ত্রোপচার করা হবে। এজন্য আকিব হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।

এর আগে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, আকিব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার মাথার হাড়ের একাংশ প্রতিস্থাপন করতে অস্ত্রোপচার করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে এবং ৩০ অক্টোবর দিনে চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৩০ অক্টোবর প্রতিপক্ষের আঘাতে মারাত্মক আহত হন আকিব। চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, আকিবের মাথার হাড় ভেঙে গেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

এরপর অস্ত্রোপচার করে তার মাথার হাড়ের একটা অংশ খুলে পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়। মাথার ব্যান্ডেজে তখন লিখে রাখা হয়, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। ওই হাড় আরেকটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই অপারেশনটি করার জন্য তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কুমিল্লার স্কুল শিক্ষক গোলাম ফারুক মজুমদারের দুই সন্তানের মধ্যে মাহাদী জে আকিব (২১) ছোট। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

কেএম/এসএসএইচ