ভারতীয় ঋণের অর্থছাড় বেড়েছে
ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) ঋণে অর্থছাড় বেড়েছে। বর্তমানে ভারতীয় ঋণে চলমান প্রকল্পে মোট ঋণ ছাড় হয়েছে ৯৬ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে প্রায় ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। তিনটি এলওসি মিলে এই ঋণ ছাড় করেছে ভারত।
রোববার (২৭ মার্চ) রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে এলওসি ঋণের অর্থছাড়সহ প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়ানো বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, ইআরডি ও ভারতীয় হাইকমিশনসহ ইআরডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ইআরডি বলছে, বিভিন্ন কারণে এলওসি প্রকল্পে অর্থছাড় বেড়েছে। শুরুর দিকে ভারতীয় ঋণের অর্থছাড়ের পরিমাণ হতাশাজনক থাকলেও বর্তমানে তা বেড়েছে। প্রথম ধাপে ২০১০ সালে দেওয়া প্রথম এলওসি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮০ কোটি ডলার।
ইতোমধ্যেই ভারত প্রকল্পের আওতায় অর্থছাড় করেছে ৬৮ দশমিক ৬ কোটি ডলার বা ৭৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রথম এলওসিতে অর্থছাড় বাকি আছে মাত্র ১২ কোটি ডলার। এই এলওসির আওতায় ১৫টি প্রকল্প নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১২টি প্রকল্প এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি তিনটি প্রকল্প চলমান। ২০২১-২২ অর্থবছরে একটি প্রকল্প বাদে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।
দ্বিতীয় এলওসিতে ২০০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি সই করেছে ভারত। এর মধ্যে অর্থছাড় হয়েছে ১৭ দশমিক ২৬ কোটি ডলার। ভারতের সাবেক অর্থ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রয়াত অরুণ জেটলির সফরে তৃতীয় ধাপের লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় আরও ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তিসই হয়। এরমধ্যে অর্থছাড় হয়েছে ১০ দশমিক ১৩ কোটি মার্কিন ডলার। তিন ধাপে ভারতীয় ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা (এক ডলার সমান ৮০ টাকা ধরে)। এর মধ্যে ছাড় হয়েছে ৯৬ কোটি ডলার।
বৈঠক প্রসঙ্গে ইআরডি’র উপসচিব মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন কারণে এলওসি ঋণ ছাড় বিলম্ব হয়েছে। তবে বর্তমানে সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে সামনে ঋণ ছাড়ের গতি আরও বাড়বে।
ইআরডি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ঋণে মোট ১৫টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। চলমান আছে ১৩টি প্রকল্প। চলতি সময় থেকেই দ্বিতীয় ঋণে অর্থছাড় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া তৃতীয় ঋণের আওতায় মোট ১৬টা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫টা প্রকল্প ইতোমধ্যেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুমোদন দিয়েছে। সামনে কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে টেন্ডার হবে।
এসআর/জেডএস