মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৬
চট্টগ্রামের সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে কলেজের বিজ্ঞান ভবনের হলরুমে এ ঘটনা ঘটে। মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পলাশ গ্রুপের মধ্যে মারামারির এ ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে আনোয়ার পলাশ, তাহফিম সোহেলকে (অনার্স ৪র্থ বর্ষ) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একই গ্রুপের সাকিব (বিএসএস ৩য় বর্ষ) সামান্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে নাঈম গ্রুপের নাঈম, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (মাস্টার্স), রবি (অনার্স ৩য় বর্ষ) সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহসিন কলেজে দুই দল ছাত্রের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের হল রুমে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে কলেজ প্রশাসন। এতে কাজী নাঈমের নেতৃত্বে তার নেতাকর্মীরা সভাস্থলে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পলাশ ও যুগ্ম আহ্বায়ক মায়মুন মামুন পক্ষের নেতাকর্মীরা বিজ্ঞান ভবনে ওই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতে আসে। এরই একপর্যায়ে দু'পক্ষ স্লোগান, পাল্টা স্লোগান শুরু করে। এরপর কথা-কাটাকাটি, হাতাহাতি এবং চেয়ার ও কাঠের বেঞ্চ ছোড়াছুড়ি শুরু করে। তখন পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মায়মুন উদ্দিন মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভালোভাবেই সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলাম। তখন কোনো কারণ ছাড়াই আহ্বায়ক কাজী নাঈমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর চেয়ার ছুড়তে থাকে ও আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমাদের তিনজন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কাজী নাঈমসহ তার কর্মীরা যেকোনো জাতীয় দিবসে এ ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে চাঁদাবাজির রাজত্ব করতে চায় নাঈম।
কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আনোয়ার পলাশের নেতৃত্ব আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। আনোয়ার পলাশ ও তার গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাস অস্থীতিশীল করতে চায়।
কেএম/জেডএস