নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ৭১ জন কর্মকর্তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ কয়েকটি পদে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

এরই মধ্যে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। ২০০৬ সালে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একটি সিন্ডিকেট ওই নিয়োগের সঙ্গে জড়িত এমন অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার অনুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান)  মো. মোজাম্মেল হক খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনুসন্ধান মাত্র শুরু হয়েছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দেখবেন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের তথ্য-উপাত্ত কিভাবে সংগ্রহ করবেন। তিনি ঠিক করবেন কারও বক্তব্য প্রয়োজন নাকি ডকুমেন্টারি তথ্য-উপাত্ত যথেষ্ট।

আমলে নেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ৭ জন কর্মকর্তাকে উপ-সহকারী প্রকৌশলীসহ কয়েকটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ঘুষের মাধ্যমে এইসব কর্মকর্তাকে সে সময়কার গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকারসহ একটি চক্র নিয়োগ দিয়েছে। ৭১ জন কর্মকর্তা বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন।

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষে বিভিন্ন পদে ৭১ জন কর্মকর্তা নিয়োগের নিমিত্তে নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়। ওই পরীক্ষায় খাতার প্রথম পৃষ্ঠায় নাম, ক্রমিক নম্বর ও পদের নাম লেখার নির্ধারিত ছক থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের খাতার ওপরে নাম ও রোল নম্বর লিখতে নিষেধ করা হয়। এর পরিবর্তে তাদের পৃথক সাদা কাগজ সরবরাহ করে তাতে পরীক্ষার্থীদের নাম ও রোল নম্বর লিখতে বলা হয়। এছাড়া সকালে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের যে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় বিকেলে অংশগ্রহণকারীদেরও একই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। 

এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীদের কাছ থেকে পেয়ে অভিযোগটি ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পরপরই অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

আরএম/এনএফ