রাজাকারের ফাঁসির রায় নিয়ে তর্ক থেকে খুন, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের চকরিয়ার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর নূরুল হুদা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সোহায়েতকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার মগনামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ৩০ জুন কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালী এলাকার একটি চায়ের দোকানে টিভিতে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার খবর দেখছিলেন বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে সব রাজাকারের ফাঁসি দিচ্ছে।
এ সময় চা দোকানে থাকা নুরুল হুদার আপন ভাতিজাসহ আসামিরা নুরুল হুদার কথায় ক্ষিপ্ত হন। পরে নুরুল হুদাকে চা দোকান থেকে অপহরণ করে বদরখালী ইউনিয়নের ঠুটিয়াখালীপাড়া এলাকায় গলাকেটে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে শাহজাহান বাদী হয়ে একই বছরের ৩ জুলাই পাঁচজনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর চকরিয়া থানা পুলিশ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আর এ বছরের ৬ মার্চ সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। মো. সোহায়েত এ মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি বলেন, আদালতের রায়ের পর নুরুল হুদা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে আজ ভোরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. সোহায়েতকে মগনামাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা রয়েছে। তাকে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেএম/আরএইচ