রমজানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে ‘কঠোর’ হচ্ছে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কঠোর মনিটরিং করব।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খাবারের মানসহ হোটেল ও রেস্তোরাঁর ভেতরে-বাইরে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার গুলশান ২-এ নগর ভবনের হল রুমে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
রমজানে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না— এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শুধু হোটেল ও রেস্তোরাঁ নয়, পথ-খাবারের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। পথ-খাবারের গুণগত মান নিশ্চিত করার বিষয়েও ডিএনসিসি কাজ করবে। ডিএনসিসি থেকে আমরা প্রাথমিকভাবে ১০০ জন খাবার বিক্রেতাকে গাড়ির লাইসেন্স দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি । লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের বিষয়ে আমাদের মানসিক পরিবর্তন খুব জরুরি। সুস্থ-সবল জাতি গঠন ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। ভেজাল খাদ্য সরবরাহ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করা যাবে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ব্যাপক জনসচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, আসন্ন রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তায় মনিটরিং ব্যবস্থা অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জোরদার করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কাইউম সরকার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর জন টেইলরসহ ডিএনসিসির কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলের হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিক, ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা।
এএসএস/আরএইচ