হরতালের নামে ভাঙচুর করলে নিরাপত্তা বাহিনী ভূমিকা রাখবে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হরতাল-ধর্মঘট রাজনৈতিক চর্চার অংশ। রাজনৈতিক দলগুলো এসব করতেই পারে। তবে কেউ যদি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি, ভাঙচুর ও ধ্বংসাত্মক কিছু করে, তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ভূমিকা রাখবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রামের দামপাড়ায় পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উদ্বোধনের পর মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা যে অস্ত্রাগার দখলে নিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, সেই অস্ত্রাগার সংস্কার করে গড়ে তোলা হয়েছে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এ জাদুঘর নির্মাণ করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি রাজনৈতিক দলগুলো সহিংসতার পথ পরিহার করবে। তারা কোনো ভাঙচুরে যাবে না, ধ্বংসাত্মক কাজ করবে না, জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে না। করলে যেটা হয় সেটাই হবে।
তিনি বলেন, তেলের দাম শুধু বাংলাদেশে বাড়েনি, সারাবিশ্বেই বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে তার কারণে পরিবহন ব্যয় তিনগুণ হয়ে গেছে। আমাদের দেশে তেলসহ অনেক কিছুই আমদানি-নির্ভর। কাজেই আমদানির ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে এবং তার প্রভাব কিছুটা দেশের বাজারে পড়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট ও ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছেন।
পেঁয়াজ ও তেলের দাম নিম্নমুখী উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই, তারপরও যদি কেউ হরতাল ডাকে কিছু বলার নেই। আমাদের আবেদন থাকবে যারা হরতাল ডেকেছে তারা যেন ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকে এবং জনজীবনের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে। জানমালের ক্ষতি না করে।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলে অনেকেই অনেক কৌশল অবলম্বন করে। নির্বাচনে যেন না আসতে হয়ে, নির্বাচন যেন ফেস না করতে হয়। জনগণের ভোট ছাড়া অন্যভাবে ক্ষমতায় আসা যায় কি না, এ ধরনের কৌশল অনেকেই করে। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভরসায় চলেন, জনগণের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করেন। কাজেই জনগণের শক্তিতেই তিনি রাজনীতি করেন। জনগণের আস্থার রাজনীতি করেন।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা যে অস্ত্রাগার দখলে নিয়ে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, সেই অস্ত্রাগার সংস্কার করে গড়ে তোলা হয়েছে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এ জাদুঘর নির্মাণ করে।
কেএম/এসএম/জেএস