গ্যাসের দাম বাড়ানোর সুপারিশ বাতিলের দাবি
গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ)। বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক আব্দুল ওয়াহেদ ও কামরুল আহসানের সই করা বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুই বছরে শ্রমিকের প্রধান খাদ্য উপাদান মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ, ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে ৯০ শতাংশ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বেড়েছে, বেড়েছে গাড়িভাড়া-বাড়িভাড়া। শাক-সবজির দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
২০১৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির আর্থিক মূল্য বর্তমান বাজারে অর্ধেকে নেমেছে। অপরদিকে করোনার অজুহাতে চাকরির অনিশ্চয়তা তৈরি করে শ্রমিকদের ওপর বাড়তি কাজের চাপ তৈরি করা হয়েছে। শ্রমিকরাও বর্ধিত দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তাল মেলাতে কিছুটা বাড়তি উপার্জনের জন্য দিনে ১২-১৬ ঘণ্টা পরিশ্রম করছে। অর্থাৎ অতিরিক্ত পরিশ্রম আর অপুষ্টিতে ভুগে শ্রমিকদের কর্মক্ষমতা দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
গত বছর ডিসেম্বরের তুলনায় তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৫৮ শতাংশ। করোনার আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। কিন্তু পোশাক শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে কমেছে। অর্থাৎ একজন শ্রমিককে পূর্বের মজুরিতে প্রায় দেড়গুণ কাজ করতে হচ্ছে।
বাড়তি কাজের বিনিময়ে প্রাপ্য মজুরি দিয়ে শ্রমিকরা আগের অর্ধেক পণ্য কিনতে পারছে। এ অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। গ্যাসের দাম বাড়লে বিদ্যুতের দামও বাড়বে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা শ্রমজীবী মানুষের কাছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।
নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের এ বাজারকে স্থিতিশীল করতে কার্যকর মনিটরিং এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জানানো হয় বিবৃতিতে।
এমএইচএন/আরএইচ