দেশের মানুষ জ্বালাও পোড়াও চায় না : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে যখনই কোনো উন্নয়ন প্রকল্প চালু হয়, তখন বিরোধীদলীয় নেতারা নানা অপপ্রচার করেন। বিএনপির নেতাদের বলব, গ্রামে গঞ্জে যান। মানুষ কি বলে শুনেন। মানুষ উন্নয়ন চায়, অগ্রগতি চায়, মানুষ সু-শাসন চায়। মানুষ জ্বালাও পোড়াও চায় না।
সোমবার (২১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতার প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখে, দেশের মানুষ ভাল নাই। তাদের এই ভাল নাই, ওই ভাল নাই বলার মধ্যেই জাতিসংঘ রিপোর্ট দিল বাংলাদেশের মানুষ সুখী ইন্ডেক্সে ৭ ধাপ এগিয়েছে। এটি তাদের বক্তব্যের প্রতি জাতিসংঘের কঠিন চপেটাঘাত বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সুখী ইন্ডেক্সে যে আমরা ৭ ধাপ এগোলাম তা নিয়ে তাদের (বিএনপির) কোনো কথা নেই। ভারত, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ অনেক উপরে। ভারতের অবস্থান ১৩৬ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১২৬। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪। আমরা যে এত এগোলাম তা নিয়ে তারা কথা বলবে না।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আর একটা গ্রুপ আছে তারা (সিপিবি) নিজেদের জ্ঞানী প্রমাণ করার জন্য শুধু ভুল ধরে। এই করোনা কালে এবং কোন সংকটেই আমরা তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে দেখি নাই। তবে হঠ্যাৎ তারা কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করে। তবে সুখী ইন্ডেক্সে যে বাংলাদেশ ৭ ধাপ এগোল তা নিয়ে তাদের কোনো রিপোর্ট নেই।
দেশে ভোগ্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে যে ভোগ্য পণ্যের দাম বেড়েছে সেগুলো হলো আমদানি নির্ভর। সমগ্র পৃথিবীতে এ সকল পণ্যের দাম বাড়ায় বাংলাদেশেও তার দাম বেড়েছে। আর এটাকে সামাল দেবার জন্য নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে তা কিনতে পারে এজন্য সরকার ১ কোটি মানুষকে কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে এ সকল পণ্য কেনার ব্যবস্থা করেছেন। এর ফলে দেশের মানুষের মধ্যে একধরনের স্বস্তি ফিরে আসছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হবে। তবে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে করতে আমরা বড় হয়েছি। আগামী নির্বাচন এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। আর বাংলাদেশের মানুষ পঞ্চম বারের মত শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবেন।
জিল্লুর রহমান পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এবং জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আখতারুজ্জামান খোকার সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় প্রমুখ।
এমএইচএন/আইএসএইচ