টিকা নিয়ে সন্দেহ কেটে গেছে: সালমান এফ রহমান
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের সব সন্দেহ-সংশয় কেটে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, টিকায় সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একটা স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে মানুষের ভয়, সন্দেহ কেটে গেছে। যেকারণে মানুষের টিকা নিতে আগ্রহ বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৪৫ রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনি টিকা নিতে আসেন। টিকা নেওয়ার পর তিনি সেখানে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণ থাকেন। পরে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, টিকা নিয়ে শুরুতে অনেকেই অনেক ধরনের কথা বলেছেন, সমালোচনা করেছেন। এটা নিয়ে আমাকেও ব্যক্তিগতভাবে অনেক সমালোচনা করার চেষ্টা করেছিলেন। আমি মনে করি, যারা সমালোচনাকারী, তারা এমনিতেই সমালোচনা করবে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি দেশে টিকা আনতে আমরা যে উদ্যোগটা নিয়েছিলাম, অধিকাংশ মানুষই আমাদের প্রশংসা করছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে টিকা আনতে প্রধানমন্ত্রী সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টিকা অনুমোদনের আগেই তিনি ৬০ মিলিয়ন ডলার অগ্রিম টাকা দিতে রাজি হয়েছেন। আর এ কারণেই আজকে আমরা সবাই টিকা নিতে পারছি।
সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আমার যত বন্ধুবান্ধব বিদেশে আছেন, তারা বলছেন জুলাই-আগস্টের আগে টিকা পাবেন না। আর আমরা আলহামদুলিল্লাহ ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের সবাই টিকা পেয়ে গেছি।
বয়সসীমা আরও কমতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা গ্রহণে বয়স সীমা কমিয়ে ৪০ বছর করে সরকার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাইকে করোনা টিকা নিশ্চিতে বসয়সীমা আরও কমতে পারে, এবিষয়ে আলোচনা চলছে। হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা এমনি এমনি আসেনি। করোনার শুরুতে দু্ই হাজার ডাক্তার-নার্স নিয়োগসহ তার দূরদর্শিতার কারণের এটা সম্ভব হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে ডাক্তার, নার্স, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিরাসহ সবার সহযোগিতা রয়েছে।
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরিরোধী ১০ হাজার টিকা দেয়া হয়েছে, এরইমধ্যে এই দশ টিকার নিবন্ধন শেষ হয়েছে ফলে এই হাসপাতালে এসে নতুন করে নিবন্ধন করতে পাচ্ছে না টিকা নিতে আগ্রহীরা।
টিআই/এসএম